আপনি যদি আপনার কানে কিছু রুষ্ট কথা-বার্তার শব্দ বাজতে শুনতে পান তবে এতে উদ্বিগ্ন হবেন না- কেননা, হিংসা নতুন কিছু নয়। যেমনটি একজন কবি বলেছেন-

“মহৎ গুণাবলি অর্জন করতে মনোযোগ দাও এবং প্রচেষ্টা কর, যে ব্যক্তি তোমার নিন্দ করে তার হিংসার জ্বালা ঠান্ডা করে তার প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন কর। জেনে রাখ যে, জীবনটা নেক আমল করার মওসুম; আর মৃত্যুর পর সব হিংসা বন্ধ হয়ে থাকে।”

একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন-

“অনুভূতিপ্রবণ ব্যক্তিরা যখন নিন্দ ও অন্যায় তিরস্কারের কবলে পড়ে তখন তাদেরকে অবশ্যই তাদের স্নায়ুসমূহে কিছু পরিমাণ শীতলতা জোর করে ঢেলে দিতে হবে।” অর্থাৎ জোর করে হলেও তাদের মন-মস্তিস্ক ঠাণ্ডা রাখতে হবে।

আরেকজন বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছেন-

“কাপুরুষ মরে বারবার আর সাহসী মানুষ মরে একবার।” আল্লাহ যদি তার কোন বান্দার কল্যাণ চান তবে তিনি তাকে নিরাপত্তা হিসেবে তন্দ্রা দ্বারা আচ্ছন্ন করে নেন। যেমনটি ঘটেছিল তালহা (রাঃ)-এর উহুদ যুদ্ধের পূর্বে। যুদ্ধের কিছুক্ষণ আগে কাফেররা যখন মানসিক আশংকায় অপেক্ষা করছিল তখন তিনি তন্দ্ৰালু হয়ে পড়েছিলেন। ফলে তার হাত থেকে কয়েকবার তরবারি পড়ে গিয়েছিল তিনি এতটাই প্রশান্তি বোধ করেছিলেন।

সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন-

قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَا إِلَّا إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَن يُصِيبَكُمُ اللَّهُ بِعَذَابٍ مِّنْ عِندِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا

“বল তোমরা কি আমাদের জন্য (শাহাদত বা বিজয় এই) দুটি কল্যাণের একটির প্রতীক্ষা করছ? অথচ আমরা তোমাদের জন্য প্রতীক্ষা করছি যে, আল্লাহ তার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট শাস্তি প্রেরণ করবেন অথবা আমাদের হাতে তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন।” (৯-সূরা তাওবা: আয়াত ৫২)

“আল্লাহর অনুমতি এবং একটি নির্দিষ্ট সময় ছাড়া কেউ কখনও মারা যেতে পারে না।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৪৫)

আলী (রাঃ) বলেছেন-

“মৃত্যুর দুটি দিবসের কোনটিকে আমি ভয় করি? যেদিন আমার মৃত্যু নির্দিষ্ট নয় সেদিনকে না-কি যেদিন আমার মৃত্যু নির্দিষ্ট সেদিনকে? যেদিন আমার মৃত্যু নির্দিষ্ট সেদিনকে আমি ভয় করি না; কিন্তু, যেদিন মৃত্যু নির্দিষ্ট সেদিন সতর্ক ব্যক্তিরাও বাচতে পারবে না।”

আবু বকর (রাঃ) বলেছেন- “মৃত্যুকে তালাশ কর (অর্থাৎ সাহসী হও) তবেই তোমাদের জীবন দান করা হবে।”