• সরকারী ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীগণ হজ অফিস থেকে প্রেরিত অনুমতিপত্রে নির্ধারিত যে তারিখ থাকবে সেদিন পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে হজ ক্যাম্পে গিয়ে রিপোর্ট করবেন।
  • বেসরকারী ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীগণ এজেন্সির পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
  • হজ ক্যাম্পে রিপোর্ট করার সময় সরকারী ব্যবস্থাপনার হাজীগণ পাসপোর্ট, ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার ডুপ্লিকেট রসিদসমূহ, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট এজেন্সির পরামর্শ অনুযায়ী সাথে আনবেন।
  • হজ ক্যাম্প ডরমিটরিতে শুধুমাত্র হজযাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তাই আত্মীয়-স্বজন সাথে আনা উচিত নয়। তবে নীচ তলায় আত্মীয়-স্বজনগণ তাদের হজযাত্রীকে নানাবিধ দাপ্তরিক কাজে সহায়তা দিতে পারেন।
  • হজ ক্যাম্পে পান খাওয়া বা ধূমপান করা নিষিদ্ধ। প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহের জন্য রয়েছে ৩টি ক্যান্টিন, যা রাত দিন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। তাই বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসার কোন প্রয়োজন নেই।
  • টিকিট, পাসপোর্ট, বৈদেশিক মুদ্রা ও অন্যান্য কাগজপত্র খুবই যত্নের সাথে সংরক্ষণ করবেন। এগুলো হারিয়ে গেলে হজে যাওয়া সম্ভব হবে না।
  • মালামাল বহনের জন্য যে লাগেজ নেবেন তার গায়ে নাম, পাসপোর্ট নং ও ঠিকানা লিখে নেবেন।
  • কমপক্ষে ২ সেট ইহরামের কাপড়, ২ সেট পায়জামা-পাঞ্জাবি, ২টি লুঙ্গি, ২টি টুপি, ২টি গেঞ্জি, একটি তোয়ালে, ২টি গামছা সাথে নেবেন। শীত মৌসুম হলে দু’একটি গরম কাপড় বিশেষ করে চাদর সাথে নেবেন। মহিলা হজযাত্রীদের জন্য উত্তম হচ্ছে সালওয়ার-কামিজ নেয়া।
  • ছুরি, কাঁচি, সুই ইত্যাদি ধারালো জিনিস হাতব্যাগে বা সাথে নেয়া নিষেধ। তবে লাগেজে নেয়া যাবে।
  • আপনার কোনো অসুখ থেকে থাকলে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী পর্যাপ্ত ওষুধ সাথে নেবেন। তবে ব্যবস্থাপত্র অবশ্যই সাথে রাখবেন। অন্যথায় জেদ্দা এয়ারপোর্টে সমস্যায় পড়তে পারেন। মনে রাখবেন, বাংলাদেশ হজ মিশন জটিল কোনো রোগের চিকিৎসা দেয় না। সৌদি আরবে ওষুধের দাম প্রচুর। তাই এ ব্যাপারে বিশেষভাবে যত্নবান হবেন। অন্যদিকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বহন সেদেশে দণ্ডনীয় অপরাধ। অন্যের দেয়া ওষুধও নিজের ব্যাগে নেবেন না।
  • আপনি যদি প্রথমে মক্কা প্রবেশের ইচ্ছা করেন, তাহলে বিমানের শিডিউলের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে বিমানে উঠার আগেই ইহরাম বাঁধার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নেবেন। সুতরাং ইহরামের কাপড় ব্যাগের ভেতর দেবেন না; বরং তা পরে নেবেন। শুধু ইহরামের নিয়তটা বাকি রাখবেন। বিমানে উঠার আগেও ইহরামের নিয়ত করা যায়, তবে তা সুন্নতের বরখেলাফ। সুন্নত হচ্ছে মীকাতে পৌঁছে ইহরাম বাঁধা বা ইহরামের নিয়ত করা।
  • আপনি যদি প্রথমে মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়ত করে থাকেন এবং নিশ্চিত হন যে, প্রথমেই আপনি মদীনায় যেতে পারবেন, তাহলে এসময় ইহরাম বাঁধবেন না। কেননা মদীনা থেকে মক্কায় আসার পথে মদীনাবাসিদের যে মীকাত পড়বে, সেখান থেকে ইহরাম বাঁধবেন।