কা‘বা শরীফ ও তার চারপাশের মাতাফ, মাতাফের ওপারে বিল্ডিং, বিল্ডিংয়ের ওপারে মার্বেল পাথর বিছানো উন্মুক্ত চত্বর- এগুলো মিলে বর্তমান আল-মসজিদুল হারাম গঠিত। কারও কারও মতে পুরো হারাম অঞ্চল আল-মসজিদুল হারাম হিসেবে বিবেচিত। কুরআনুল কারীমের এক আয়াতে এসেছে-

﴿ لَّقَدۡ صَدَقَ ٱللَّهُ رَسُولَهُ ٱلرُّءۡيَا بِٱلۡحَقِّۖ لَتَدۡخُلُنَّ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ إِن شَآءَ ٱللَّهُ ءَامِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُءُوسَكُمۡ وَمُقَصِّرِينَ لَا تَخَافُونَۖ فَعَلِمَ مَا لَمۡ تَعۡلَمُواْ فَجَعَلَ مِن دُونِ ذَٰلِكَ فَتۡحٗا قَرِيبًا ٢٧ ﴾ [الفتح: ٢٧]

‘তোমরা আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে।’[1] অর্থাৎ হারাম অঞ্চলে প্রবেশ করবে। সূরা ইসরায় আল-মসজিদুল হারামের কথা উল্লেখ হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِيٓ أَسۡرَىٰ بِعَبۡدِهِۦ لَيۡلٗا مِّنَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ إِلَى ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡأَقۡصَا ٱلَّذِي بَٰرَكۡنَا حَوۡلَهُۥ لِنُرِيَهُۥ مِنۡ ءَايَٰتِنَآۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١ ﴾ [الاسراء: ١]

‘পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা[2] পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’[3] ইতিহাসবিদদের বর্ণনামতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উম্মে হানীর ঘর থেকে ইসরা ও মেরাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর তৎকালে কা‘বা শরীফের চারপাশে সামান্য এলাকা জুড়ে ছিল আল-মসজিদুল হারাম, উম্মে হানীর ঘর আল-মসজিদুল হারাম থেকে ছিল দূরে। তা সত্ত্বেও উক্ত স্থানকে আয়াতে মসজিদুল হারাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

[1]. ফাত্হ : ২৭।

[2]. ফিলিস্তীনে অবস্থিত বাইতুল মাকদিস, যা মুসলমানদের প্রথম কিবলা ছিল।

[3]. বানী ইসরাঈল : ১।