পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ আরো দু’টি বিষয় রয়েছে

১. মাথা আবৃত করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফায় বাহনে পিষ্ট মুহরিম ব্যক্তির ব্যাপারে বলেছেন,

«اغْسِلُوهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَكَفِّنُوهُ فِي ثَوْبَيْنِ ، وَلاَ تُحَنِّطُوهُ ، وَلاَ تُخَمِّرُوا رَأْسَهُ.»

‘তাকে পানি ও বরই পাতা দিয়ে গোসল দাও, তাকে দুইটি কাপড়ে কাফন দাও; কিন্তু তার মাথা আবৃত করো না।’[1] অপর এক বর্ণনায় রয়েছে,

«وَلاَ تُخَمِّرُوا رَأْسَهُ وَلاَ وَجْهَهُ».

‘তার মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করো না।’[2]

সুতরাং পুরুষ মুহরিমের জন্য পাগড়ি, টুপি ও রুমাল জাতীয় কাপড় দিয়ে মাথা আবৃত করা বৈধ নয়, যা তার দেহের সাথে লেগে থাকে। তেমনি মুখ আবৃত করাও নিষিদ্ধ।

২. পুরো শরীর ঢেকে নেয়ার মত পোশাক কিংবা পাজামার মত অর্ধাঙ্গ ঢাকে এমন পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ। যেমন জামা বা পাজামা পরিধান করা। মোটকথা, স্বাভাবিক অবস্থায় যে পোশাক পরিধান করা হয়, তা পরিধান করা পুরুষের জন্য বৈধ নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর কাছে মুহরিমের পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সে জামা, পাগড়ি, মস্তকাবরণীযুক্ত লম্বা কোট, পাজামা, মোজা এবং এমন কাপড় পরিধান করতে পারবে না, যাতে জাফরান ও ওয়ারস (এক প্রকার সুগন্ধি) ব্যবহার করা হয়েছে।[3]

তবে যদি লুঙ্গি কেনার মত টাকা না থাকে, তাহলে পাজামাই পরিধান করবে। জুতো কেনার মত সঙ্গতি না থাকলে মোজা পরবে, সাথে অন্য কিছু পরবে না। ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরাফার ময়দানে খুতবায় বলতে শুনেছি,

«السَّرَاوِيْلُ لِمَنْ لَمْ يَجِدْ الإِزَارُ وَالْخُفَافُ لِمَنْ لَمْ يَجِدْ النَّعْلَيْنِ».

‘যে লুঙ্গি পাবে না, সে যেন পাজামা পরে নেয়। যে জুতো পাবে না, সে যেন মোজা পরে নেয়।’[4]

[1]. শরহে মুসলিম : ৪/৩৮৭।

[2]. মুসলিম : ৪/৫৪৩।

[3]. মুসলিম : ৪/৩৩১।

[4]. মুসলিম : ৪/৩৩১।