পবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করুন

যে নাপাকীতে গোসলের প্রয়োজন সে নাপাকী অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত (মুখস্থ পড়া অথবা কুরআন স্পর্শ না করে দূরে রেখে দেখে পড়া) বৈধ নয়। আলী (রাঃ) বলেন, ‘বড় নাপাকীর অবস্থা ছাড়া অন্যান্য অবস্থায় আল্লাহর রসূল (ﷺ) আমাদেরকে কুরআন পড়াতেন।’[1]

অবশ্য যে নাপাকীতে গোসলের দরকার হয় না বরং কেবল ওযূর দরকার হয়, সে নাপাকী অবস্থায় কুরআন মুখস্থ পড়া যায়। যেহেতু রাসুল (ﷺ) একদা তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য উঠে সূরা আলে ইমরানের শেষের ১০টি আয়াত পাঠ করার পর ওযূ করেছেন।

একদা উমার (রাঃ) এক সম্প্রদায়ের নিকট এলেন; তখন তারা কুরআন পড়ছিল। সেখান থেকে তিনি (পেশাব অথবা পায়খানার) প্রয়োজনে গেলেন এবং কুরআন পড়তে পড়তে ফিরে এলেন। তা দেখে এক ব্যক্তি তাঁর উদ্দেশ্যে বলল, ‘হে আমীরুল মু’মেনীন! ওযূ না করেই আপনি কুরআন পাঠ করছেন?’ তার এ কথা শুনে তিনি বললেন, ‘তোমাকে এ ফতোয়া কে দিয়েছে (যে, বিনা ওযূতে কুরআন পড়া যাবে না)? (ঝুটা নবী) মুসাইলিমাহ নাকি?’[2] অবশ্য ওযূ অবস্থাতেই কুরআন (মুখস্থ) পড়া উত্তম।

সুযোগ ও সুবিধা অনুযায়ী কুরআন মুখস্থ অথবা দেখে পড়া যায়। তবে দেখে পড়া উত্তম, যেমন পূর্বে এক হাদীসে উল্লেখ হয়েছে। অনুরূপ যার কুরআন আছে, সে হাফেয হলেও মাঝে মাঝে তা দেখে পড়া দরকার। যাতে তা একেবারে পরিত্যক্ত না হয়ে যায়।

[1]. মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ৬২৭, তিরমিযী হা/১৩১, আলবানীর নিকট হাদীসটি যয়ীফ

[2]. মুঅত্ত্বা ৪৬৯