ইসলামী জীবন-ধারা মহিলার সাজ-সজ্জা আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি

চেহারা দেহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মর্যাদাশীল ও দর্শনীয় অঙ্গ। সুন্দর-অসুন্দর বিবেচিত হয় এই অঙ্গেরই নিকষে। তাই তো বেগানার কাছে মর্যাদাসম্পন্না স্বাধীনা মহিলারা তাও গোপন করে থাকেন। তাই তো শরীয়ত নির্দেশ দিয়েছে যে, মহিলা আঘাতের উপযুক্তা হলেও তার চেহারায় যেন আঘাত না করা হয়।

চেহারার রঙ উজ্জ্বল করার জন্য কোন মেডিসিন দিয়ে চেহারার উপরিভাগের ছাল তুলে ফেলা বৈধ নয়। বৈধ নয় প্লাস্টিক সার্জারি করে নতুন রূপ আনয়ন করা। বৈধ নয় বৃদ্ধার ভাঁজ পড়া চেহারা থেকে কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভাঁজ দূর করে যুবতীর নকল রূপ আনয়ন করা। যেহেতু এ কাজও আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন সাধনের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ যে রূপ দান করেছেন, মহিলাকে সেই রূপ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। অর্থ আছে বলে অর্থের অপচয় ঘটিয়ে ধার করা রূপ আনাতে ইসলামের সম্মতি নেই। অবশ্য বিকৃত মুখম-ল অথবা কোন অঙ্গ স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে আনতে ইসলাম অনুমতি দেয়।

দেগে মুখে-হাতে নক্সা করা বৈধ নয়। এরূপ দেগে নক্সা যে বানিয়ে দেয় এবং যার জন্য বানানো হয় উভয়কেই রসূল (ﷺ) অভিসম্পাত করেছেন।[1]

মহিলার চেহারায় যদি অস্বাভাবিক লোম গজিয়ে ওঠে; যেমন গালে, ঠোঁটে বা চিবুকে লোম দেখা দেয়, তাহলে তা যে কোন প্রকারে দূর করে স্বাভাবিক রূপ ফিরিয়ে আনাতে কোন দোষ নেই।[2]

[1]. সহীহুল জা’মে হা/৫১০৪, তামবীহুল মু’মিনাত ২৯পৃঃ

[2]. ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দায়িমাহ ২১৭৭৮