হারাম ও কবিরা গুনাহ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি
১৮৬. কোন গুনাহ্’র কাজে মানত করে তা পুরা করা

কোন গুনাহ্’র কাজে মানত করে তা পুরা করা হারাম। তবে এ ক্ষেত্রে তাকে কসমের কাফ্ফারা দিতে হবে।

‘আয়েশা(রাঃ)(রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

مَنْ نَذَرَ أَنْ يُّطِيْعَ اللهَ فَلْيُطِعْهُ، وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَ اللهَ فَلَا يَعْصِهِ.

‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলার আনুগত্য (ইবাদাত) করবে বলে মানত করেছে সে যেন তাঁর আনুগত্য করে তথা মানত পুরা করে নেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলার অবাধ্যতা তথা গুনাহ্’র কাজ করবে বলে মানত করেছে সে যেন তাঁর অবাধ্য না হয় তথা মানত পুরা না কওে’’।

(আবূ দাউদ ৩২৮৯; তিরমিযী ১৫২৬; ইব্নু মাজাহ্ ২১৫৬)

‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) আরো বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

لَا نَذْرَ فِيْ مَعْصِيَةٍ ؛ وَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِيْنٍ.

‘‘কোন গুনাহ্’র ব্যাপারে মানত করা চলবে না। তবে কেউ অজ্ঞতাবশত: এ জাতীয় মানত করে ফেললে উহার কাফ্ফারা কসমের কাফ্ফারা হিসেবে দিতে হবে’’। (আবূ দাউদ ৩২৯০, ৩২৯২; তিরমিযী ১৫২৪, ১৫২৫; ইব্নু মাজাহ্ ২১৫৫)

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

النَّذْرُ نَذْرَانِ : فَمَا كَانَ لِلهِ فَكَفَّارَتُهُ الْوَفَاءُ، وَمَا كَانَ لِلشَّيْطَانِ فَلَا وَفَاءَ فِيْهِ، وَعَلَيْهِ كَفَّارَةُ يَمِيْنٍ.

‘‘মানত দু’ প্রকার। তার মধ্যে যা হবে একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলারই জন্য তার কাফ্ফারা হবে শুধু তা পুরা করা। আর যা হবে শয়তানের জন্য তথা শরীয়ত বিরোধী তা কখনোই পুরা করতে হবে না। তবে সে জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কসমের কাফ্ফারা দিতে হবে’’।

(ইব্নুল জারূদ্/মুন্তাক্বা, হাদীস ৯৩৫ বায়হাক্বী ১০/৭২)

সুতরাং কেউ যদি তার কোন আত্মীয়ের সাথে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে বলে মানত করে কিংবা কোন ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দিবে বলে মানত করে অথবা কোন হারাম কাজ করবে বলে মানত করে তা হলে সে এ জাতীয় মানত পুরা করবে না। বরং সে কসমের কাফ্ফারা তথা দশ জন মিসকিনকে খানা খাওয়াবে অথবা তাদেরকে কাপড় কিনে দিবে। আর তা অসম্ভব হলে তিনটি রোযা রাখবে।