মানুষকে দেখানো অথবা গর্ব করার জন্য ঘোড়ার প্রতিপালন হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الْـخَيْلُ لِثَلَاثَةٍ: لِرَجُلٍ أَجْرٌ وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ، فَأَمَّا الَّذِيْ لَهُ أَجْرٌ: فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ.. وَرَجُلٌ رَبَطَهَا تَغَنِّيًا وَتَعَفُّفًا وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِيْ رِقَابِهَا وَلَا ظُهُوْرِهَا فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ، وَرَجُلٌ رَبَطَهَا فَخْرًا وَرِيَاءً فَهِيَ عَلَى ذَلِكَ وِزْرٌ.
‘‘ঘোড়া তিন জাতীয় মানুষের জন্য। কারোর জন্য তা সাওয়াব কামানোর মাধ্যম হবে। আবার কারোর জন্য তা নিজ সম্মান রক্ষা করার মাধ্যম হবে। আবার কারোর জন্য তা গুনাহ্’র কারণ হবে। যার জন্য তা সাওয়াব কামানোর মাধ্যম হবে সে ওই ব্যক্তি যে ঘোড়াটিকে আল্লাহ্’র রাস্তায় জিহাদের জন্য প্রতিপালন করছে। ... দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছে সে যে ঘোড়াটিকে সচ্ছলতা ও আরেক জনের নিকট হাত পাতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিপালন করছে। আর সে এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা‘আলার অধিকারসমূহ ভুলে যায়নি। তা হলে তা তার জন্য সম্মান রক্ষার মাধ্যম হবে। আরেকজন ঘোড়াটিকে লোক দেখানো এবং গর্ব করার জন্য প্রতিপালন করছে। তা হলে তা তার জন্য গুনাহ্’র কারণ হবে’’। (বুখারী ৭৩৫৬; মুসলিম ৯৮৭)