ধন-সম্পদ অপচয় করাও আরেকটি হারাম কাজ এবং কবীরা গুনাহ্। যদিও তা নিজেরই হোক না কেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْا، إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْـمُسْرِفِيْنَ»
‘‘তোমরা খাও এবং পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা অপচয়কারীদেরকে ভালোবাসেন না’’। (আ’রাফ : ৩১)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
إِنَّ اللهَ يَرْضَى لَكُمْ ثَلَاثًا وَيَكْرَهُ لَكُمْ ثَلَاثًا، فَيَرْضَى لَكُمْ أَنْ تَعْبُدُوْهُ، وَلَا تُشْرِكُوْا بِهِ شَيْئًا، وَأَنْ تَعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللهِ جَمِيْعًا وَلَا تَفَرَّقُوْا، وَيَكْرَهُ لَكُمْ قِيْلَ وَقَالَ وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةَ الْمَالِ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের জন্য তিনটি কাজ পছন্দ করেছেন। তেমনিভাবে আরো তিনটি কাজ অপছন্দ। আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের জন্য যা পছন্দ করেছেন তা হলো, তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না এবং তোমরা সবাই একমাত্র আল্লাহ্’র রজ্জুকেই আঁকড়ে ধরবে। কখনো বিক্ষিপ্ত হবে না। তিনি তোমাদের জন্য যা অপছন্দ করেছেন তা হলো, এমন কথা বলা হয়েছে; অমুক এমন কথা বলেছে তথা অযথা সংলাপ, অহেতুক অত্যধিক প্রশ্ন এবং ধন-সম্পদের বিনষ্ট সাধন’’। (মুসলিম ১৭১৫)
প্রতিটি মানুষকে কিয়ামতের দিন অবশ্যই আল্লাহ্ তা‘আলার সম্মুখে নিজের সম্পদের হিসেব দিতে হবে।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্’ঊদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا تَزُوْلُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ: عَنْ عُمُرِهِ فِيْمَ أَفْنَاهُ؟ وَعَنْ شَبَابِهِ فِيْمَ أَبْلَاهُ؟ وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ؟ وَفِيْمَ أَنْفَقَهُ؟ وَمَاذَا عَمِلَ فِيْمَا عَلِمَ؟
‘‘কিয়ামতের দিন আদম সন্তানের দু’টি পা আল্লাহ্ তা‘আলার সম্মুখ থেকে এতটুকুও নড়বে না যতক্ষণ না সে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়: তার পুরো জীবন সে কি কাজে ক্ষয় করেছে? তার পূর্ণ যৌবন সে কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার ধন-সম্পদ সে কোথায় থেকে সংগ্রহ করেছে এবং কি কাজে খরচ করেছে? তার জ্ঞানানুযায়ী সে কতটুকু আমল করেছে?’’ (তিরমিযী ২৪১৬)