হারাম ও কবিরা গুনাহ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি
চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ৪. পদ ও পদক্ষেপ

অর্থাৎ সাওয়াবের কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজে পদক্ষেপণ করা যাবে না।

মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি জায়িয কাজ একমাত্র নিয়্যাতের কারণেই সাওয়াবে রূপান্তরিত হয়।

উক্ত দীর্ঘ আলোচনা থেকে আমরা সহজে এ কথাই বুঝতে পারলাম যে, কোন ব্যক্তি তার চোখ, মন, মুখ ও পা সর্বদা নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখলে তার থেকে কোন গুনাহ্ বিশেষ করে ব্যভিচার কর্মটি কখনো প্রকাশ পেতে পারে না। কারণ, দেখলেই তো ইচ্ছে হয়। আর ইচ্ছে হলেই তো তা মুখ খুলে বলতে মনে চায়। আর তখনই মানুষ তা অধীর আগ্রহে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে।

বিচ্যুতি তথা স্খলন যখন দু’ ধরনেরই তাই আল্লাহ্ তা‘আলা উভয়টিকে কুর‘আন মাজীদের মধ্যে একই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন:

«وَعِبَادُ الرَّحْمَنِ الَّذِيْنَ يَمْشُوْنَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا، وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْـجَاهِلُوْنَ قَالُوْا سَلَامًا»

‘‘দয়ালু আল্লাহ্’র বান্দাহ্ ওরাই যারা নম্রভাবে চলাফেরা করে এ পৃথিবীতে। মূর্খরা যখন তাদেরকে (তাচ্ছিল্যভরে) সম্বোধন করে তখন তারা বলে: তোমাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ! আমরা সবই সহ্য করে গেলাম; তোমাদের সঙ্গে আমাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই’’। (ফুর্ক্বান : ৬৩)

যেমনিভাবে আল্লাহ্ তা‘আলা দেখা ও ভাবাকে একত্রে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«يَعْلَمُ خَآئِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِيْ الصُّدُوْرُ»

‘‘তিনি চক্ষুর অপব্যবহার এবং অন্তরের গোপন বস্ত্ত সম্পর্কেও অবগত’’। (গাফির/মু’মিন : ১৯)