ইমাম আবূ হানীফা (রা) তাঁর ‘আল-ফিকহুল আকবার’ গ্রন্থের শেষ বাক্যে বলেছেন: ‘‘মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন।’’

বাহ্যত তিনি বুঝাচ্ছেন যে, কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিশুদ্ধ আকীদা বর্ণনা করাই আমাদের দায়িত্ব। কাউকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ক্ষমতা তো আমাদের নেই। রাব্বুল আলামীনের কাছে হেদায়াত ও তাওফীক প্রার্থনাই মুমিনের দায়িত্ব। সূরা ফাতিহাতে মহান আল্লাহ আমাদেরকে এরূপ দুআ করতে শিক্ষা দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মহান আল্লাহর কাছে হেদায়াত প্রার্থনা করে দুআ শিখিয়েছেন। আয়েশা (রা) বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাজ্জুদের সালাতের শুরুতে নিম্নের দুআটি পাঠ করতেন:


اَللّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيْلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَإِسْرَافِيْلَ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِيْ لِمَا اخْتُلِفَ فِيْهِ مِنْ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِيْ مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيْمٍ


‘‘হে আল্লাহ, জিবরাঈল, মিকাঈল ও ইসরাফীলের প্রভু, আসমানসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, আপনার বান্দারা যে সকল বিষয় নিয়ে মতভেদ করত তাদের মধ্যে সে বিষয়ে আপনিই ফয়সালা প্রদান করবেন। যে সকল বিষয়ে সত্য বা হক্ক নির্ধারণে মতভেদ হয়েছে সে সকল বিষয়ে আপনি আপনার অনুমতিতে আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আপনি যাকে ইচ্ছা করেন তাকে সিরাতুল মুস্তাকিমে পরিচালিত করেন।’’[1]

আমরা এ দুআর মাধ্যমেই ‘আল-ফিকহুল আকবার’-এর অনুবাদ ও ব্যাখ্যা শেষ করছি। সালাত ও সালাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ), তাঁর পরিজন ও সাহবীগণের উপর। প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর নিমিত্ত।

[1] মুসলিম (৬-কিতাব সালাতিল মুসাফিরীন, ২৬-বাবুদ দুআ ফী সালাতিল লাইল) ১/৫৩৪ (ভা ১/২৬৩)।