আল-ফিকহুল আকবর ইমাম আবূ হানীফা ও আল-ফিকহুল আকবার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি

আমরা দেখলাম যে, ৩য় হিজরী শতক থেকে কয়েক শতাব্দী যাবৎ ফিকহ ও আকীদার মতভেদজনিত বিদ্বেষের প্রভাবে ইমাম আবূ হানীফার বিরুদ্ধে অনেক মুহাদ্দিস কথা বলেছেন। নিরপেক্ষ বিচারে তাদের বক্তব্য সঠিক বলার কোনো পথ আমরা দেখি না। এজন্য ৮ম হিজরী শতক থেকে মুহাদ্দিসগণ এরূপ বিদ্বেষের ঊর্ধ্বে উঠার চেষ্টা করেছেন। এদের অন্যতম ইমাম ইবন তাইমিয়া (৭২৮হি) ও তাঁর ছাত্রগণ: ইমাম মিয্যী (৭৪২ হি), ইমাম যাহাবী (৭৪৮হি) ও ইমাম ইবন কাসীর (৭৭৪ হি)। ইমাম যাহাবী দুর্বল রাবীদের বিষয়ে সংকলিত তাঁর গ্রন্থগুলোতে ইনসাফ বা বে-ইনসাফ করে যাদেরকেই কেউ দুর্বল বলেছেন তাদের সকলের নাম একত্রিত করেছেন। এজন্য এ সকল বইয়ে অনেক প্রসিদ্ধ নির্ভরযোগ্য রাবীর নাম রয়েছে। এগুলোতে ইমাম আবূ হানীফার প্রসঙ্গে তাঁর বিষয়ে কথিত দু-একটি উদ্ধৃyুত দেখা যায় । এছাড়া মিয্যী, যাহাবী ও ইবন হাজার রিজাল বিষয়ক গ্রন্থগুলোতে ইমাম আবূ হানীফার নির্ভরযোগ্যতার পক্ষে বর্ণিত বক্তব্যগুলো উদ্ধৃত করেছেন এবং তাঁর নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। তাঁরা তাঁর দুর্বলতায় বর্ণিত বক্তব্যগুলো উদ্ধৃতই করেন নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, এগুলোকে সনদ বা মতনের দিক থেকে তাঁরা গ্রহণযোগ্য মনে করেন নি অথবা পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসগণ বিশ্বস্ততার সাক্ষ্যর বিপরীতে পরবর্তীতের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করেছেন।