আল-ফিকহুল আকবর ইমাম আবূ হানীফা ও আল-ফিকহুল আকবার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
৯. ২. মুহাম্মাদ ইবন উসমান ইবন আবী শাইবা (২৯৭ হি)

ইমাম আবূ হানীফার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি ফাসিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ বৈধ বলেছেন। তৃতীয় হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আবূ জাফর মুহাম্মাদ ইবন উসমান ইবন মুহাম্মাদ ইবন আবী শাইবা কূফী (২৯৭ হি)। তিনি লিখেছেন:


سمعت أبي يقول سالت أبا نعيم يا أبا نعيم من هؤلاء الذين تركتهم من أهل الكوفة كانوا يرون السيف والخروج على السلطان فقال على رأسهم أبو حنيفة وكان مرجئا يرى السيف


‘‘আমি আমার পিতা (উসমান ইবন মুহাম্মাদ ইবন আবী শাইবা ১৫৬-২৩৯ হি)-কে বলতে শুনেছি, আমি আবূ নুআইম (ফাদল ইবন দুকাইন: ১৩০-২১৮ হি)-কে প্রশ্ন করলাম, হে আবূ নুআইম, অস্ত্রে বিশ্বাস করে ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা সমর্থন করে কুফায় এরূপ কাদেরকে রেখে এসেছেন? তিনি বলেন: এদের প্রধান আবূ হানীফা। তিনি মুরজিয়া ছিলেন এবং সশস্ত্র বিদ্রোহ সমর্থন করতেন।’’[1]

মুহাম্মাদ ইবন উসমান ইবন আবী শাইবা (রাহ) কূফার প্রসিদ্ধ আলিম ছিলেন। তবে তার সততা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। সালিহ জাযরাহ ও মাসলামা ইবন কাসিম বলেন: তিনি গ্রহণযোগ্য। ইবন আদী বলেন: তার বিষয়ে সমস্যা নেই। কুফার সুপ্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস হাফিয মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ মুতাইয়ান কুফী (২০২-২৯৭) বলেন: তিনি মিথ্যাবাদী। আব্দুল্লাহ ইবন আহমদ ইবন হাম্বাল বলেন: তিনি মিথ্যাবাদী। ইবন খিরাশ বলেন: তিনি জালিয়াতি করতেন। বারকানী বলেন: আমি সবসময়ই শুনতাম যে, তিনি অনির্ভরযোগ্য। জাফর তায়ালিসী, আব্দুল্লাহ ইবন ইবরাহীম ইবন কুতাইবা, জাফর ইবন হুযাইল, মুহাম্মাদ ইবন আহমদ আদাবী ও অন্যান্য মুহাদ্দিস তাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন।[2]

[1] মুহাম্মাদ ইবন উসমান ইবন আবী শাইবা, মাসাইল, পৃ. ১২৮-১২৯।

[2] ইবন আদী, আল-কামিল ৬/২৯৫; যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফ্ফায ২/১৭১; মীযানুল ই’তিদাল ৬/২৫৪-২৫৫; ইবন হাজার, লিসানুল মীযান ৫/২৮০; সুয়ূতী, তাবাকাতুল হুফ্ফায, পৃ. ৫৬।