রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আকুল প্রার্থনা (الرَّسُوْلُ ﷺ يُنَاشِدُ رَبَّهُ):

এদিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সৈন্যদের শ্রেণী বিন্যাস কাজ শেষ করে ফিরে এসেই স্বীয় মহান প্রতিপালকের নিকট সাহায্যের ওয়াদা পূরণের প্রার্থনা করতে লাগলেন। তাঁর প্রার্থনা ছিল,

(‏اللهم أَنْجِزْ لِيْ مَا وَعَدْتَنِيْ، اللهم إِنِّيْ أَنْشُدُكَ عَهْدَكَ وَوَعْدَكَ‏)‏،

তারপর যখন উভয় পক্ষে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল তখন তিনি এ প্রার্থনা করলেন।

‏‏(‏اللهم إِنْ تُهْلِكْ هٰذِهِ الْعِصَابَةَ الْيَوْمَ لَا تُعْبَدُ، اللهم إِنْ شِئْتَ لَمْ تُعْبَدْ بَعْدَ الْيَوْمِ أَبَدًا‏)

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অত্যন্ত বিনয়ের সাথে প্রার্থনা করলেন এবং তিনি এমন আত্মভোলা হয়ে পড়লেন যে, তাঁর চাদরখানা তাঁর কাঁধ হতে পড়ে গেল। তখনও তিনি পূর্ববত তন্ময়ভাবে প্রার্থনায় নিমগ্ন থাকলেন। এ দৃশ্য দেখে ভক্ত প্রবর আবূ বাকর (রাঃ) দ্রুত ছুটে আসলেন এবং চাদরখানা দ্বারা তাঁর দেহ আচ্ছাদিত ক’রে তাকে আলিঙ্গন করে বলতে লগালেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), যথেষ্ট হয়েছে। বড়ই কাতর কণ্ঠে আপনি প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করেছেন। এ প্রার্থনা ব্যর্থ হবে না। শীঘ্রই তিনি নিজের ওয়াদা পূর্ণ করবেন।’ এদিকে আল্লাহ তা‘আলা ফিরিশতাদেরকে ওহী করলেন,

‏(‏أَنِّي مَعَكُمْ فَثَبِّتُوْا الَّذِيْنَ آمَنُوْا سَأُلْقِيْ فِيْ قُلُوْبِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا الرَّعْبَ‏)‏ ‏[‏الأنفال‏:‏ 12‏]

‘স্মরণ কর যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের প্রতি ওয়াহী পাঠিয়েছিলেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গেই আছি; অতএব মু’মিনদেরকে তোমরা দৃঢ়পদ রেখ। অচিরেই আমি কাফিরদের দিলে ভীতি সঞ্চার করব।’ [আল-আনফাল (৮) : ১২]

আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আল্লাহ তা‘আলা ওহী পাঠালেন,

‏(‏أَنِّي مُمِدُّكُم بِأَلْفٍ مِّنَ الْمَلآئِكَةِ مُرْدِفِيْنَ‏)‏ ‏[‏الأنفال‏:‏9‏]‏

‘আমি তোমাদেরকে এক হাজার ফেরেশতা দিয়ে সাহায্য করব যারা পর পর আসবে।’ [আল-আনফাল (৮) : ৯]