তিরমিযি রাহিমাহুল্লাহ্ ‘হাসানে’র সর্বাধিক ব্যবহার করেছেন। শায়খুল ইসলাম ইব্‌ন তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন: “যে হাদিস দু’সনদে বর্ণিত, যার সনদে মিথ্যার অপবাদে দুষ্ট কোনো রাবি নেই এবং যা সহি হাদিসের বিপরীত শায নয়, তিরমিযির পরিভাষায় তাই হাসান। হাসানের ক্ষেত্রে তিরমিযি এ শর্তগুলো আরোপ করেন।

কতক লোক বলেন: এর বাইরেও তিরমিযি হাসান বলেন, যেমন তিনি যে হাদিস সম্পর্কে বলেন: حسن غريب তার সনদ শুধু একটি, কারণ এক সনদে বর্ণিত হাদিসকে গরিব বলা হয়। আবার এ হাদিসকে তিনি হাসানও বলেন, যার দাবি তার অপর সনদ আছে। এ প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়: একটি হাদিস একজন তাবে‘ঈ থেকে বর্ণিত কারণে গরিব বলা হয়, কিন্তু তার থেকে দু’সনদে বর্ণিত হিসেবে হাসান বলা হয়, হাদিসটি মূলত গরিব। অনুরূপ একটি হাদিস একসাথে صحيح حسن غريب হয়, কারণ হাদিসটি সহি ও গরিব সনদে বর্ণিত তাই সহি ও গরিব। অতঃপর হাদিসটি মূল রাবি থেকে সহি সনদ ও অপর সনদে বর্ণিত তাই হাসান, যদিও হাদিসটি সহি ও গরিব। কারণ হাসান বলা হয় যার একাধিক সনদ রয়েছে এবং তার কোনো রাবি মিথ্যার অপবাদে দুষ্ট নয়। যদি উভয় সনদ সহি হয়, তাহলে সহি লি-যাতিহি, যদি একটি সনদের বিশুদ্ধতা জানা না যায় তাহলে হাসান। এ হাদিস সনদের বিবেচনায় গরিব, কারণ অন্য কোনোভাবে এ সনদ জানা যায়নি, তবে মতন হাসান, কারণ মতন দু’ভাবে বর্ণিত। তাই তিনি বলেন: “এ অধ্যায়ে অমুক ও অমুক থেকে হাদিস রয়েছে”, তার অর্থ: এ মতনের অর্থধারক একাধিক শাহেদ রয়েছে, যা প্রমাণ করে মতনটি হাসান, যদিও সনদ গরিব। যখন তার সাথে তিনি বলেন: হাদিসটি ‘সহি’, তখন তার অর্থ হাদিসটি একটি সহি সনদ ও অপর একটি হাসান সনদে বর্ণিত। এভাবে একটি হাদিস সহি ও হাসান হয়। কখনো একই বিবেচনায় গরিব বলা হয়, কারণ সনদটি এ ছাড়া কোনোভাবে জানা যায়নি, যদি সনদ সহি হয়, তাহলে হাদিস সহি ও গরিব। এতে কোনো অস্পষ্টতা নেই, তবে অস্পষ্টতা সৃষ্টি হয় হাসান ও গরিব জমা হলে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, একটি হাদিস গরিব ও সহি হয়, অতঃপর হাসান হয়। আবার কখনো হাসান ও গরিব হয়, যার অর্থ পূর্বে বলা