উক্ত হাদিসের সনদ মুত্তাসিল ও অবিচ্ছিন্ন। এতে কোথাও ছেদ বা ইনকিতা‘ নেই। সাহাবি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে আ‘রাজ, তার থেকে আবুয যিনাদ, তার থেকে মালিক, তার থেকে আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ইউসুফ এবং তার থেকে ইমাম বুখারি হাদিস শ্রবণ করেছেন। প্রত্যেক শায়খের সাথে তার রাবির সাক্ষাত প্রমাণিত। শায়খ ও রাবির জন্ম-মৃত্যু তারিখ, অবস্থান ও ভ্রমণ, পাঠগ্রহণ ও পাঠদান তাদের সাক্ষাত প্রমাণ করে। সনদে উল্লেখিত কোনো শায়খ ও রাবির সাক্ষাত সম্পর্কে কোনো ইমাম আপত্তি করেননি। দ্বিতীয়ত ইত্তেসালের বিপরীত ত্রুটিগুলো এখানে নেই, যেমন সনদ মুরসাল নয়, কারণ সাহাবির উল্লেখ আছে; সনদ থেকে এক বা একাধিক রাবি বাদ পড়েনি, তাই মুনকাতি‘ ও মু‘দ্বাল নয়; আবার ইমাম বুখারির উস্তাদ উল্লেখ আছে তাই মু‘আল্লাক নয়। অতএব সনদ মুত্তাসিল, সহি হাদিসের প্রথমশর্ত এতে বিদ্যমান।

ইত্তেসালের শর্তারোপের কারণে ইনকেতা‘ এর সকল প্রকার ‘সহি’ হাদিস থেকে বাদ পড়ল, যেমন মুনকাতি‘, মু‘আল্লাক, মুরসাল, মু‘দ্বাল, তাদলিস ও ইরসালে খফি। অতএব ইনকিতা‘ এর কোনো প্রকার সহি নয়।

[1] মুত্তাসিল ও ইত্তিসাল: ‘মুত্তাসিল’ কর্তাবাচক বিশেষ্য, অর্থ মিলিত। ‘সনদ মুত্তাসিল’ অর্থ সনদটি মিলিত ও অবিচ্ছিন্ন। ‘ইত্তিসাল’ ক্রিয়াবিশেষ্য, অর্থ মিল। ‘সনদে ইত্তিসাল’ নেই অর্থ সনদটি বিচ্ছিন্ন ও ছেদ বিশিষ্ট।