ইমাম তিরমিযী তাঁর সুনান গ্রন্থে ‘সালাতুল হাজাত’ বা ‘প্রয়োজনের সালাত’ বিষয়ে একটি হাদীস উদ্ধৃত করেছেন। হাদীসটিতে বলা হয়েছে, আল্লাহর কাছে বা কোনো মানুষের কাছে কারো কোনো প্রয়োজন থাকলে সে ওযু করে দুই রাক‘আত সালাত আদায় করবে এবং এর পর একটি দোয়া পাঠ করে আল্লাহর কাছে তার প্রয়োজন মেটানোর জন্য প্রার্থনা করবে।

ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারী ফাইদ ইবনু আব্দুর রাহমান দুর্বল রাবী। এজন্য হাদীসটি দুর্বল। এ ব্যক্তিকে ইমাম বুখারী ও অন্যান্য মুহাদ্দিস মুনকার, মাতরূক ও মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারী বলে উল্লেখ করেছেন। এজন্য কোনো কোনো মুহাদ্দিস হাদীসটিকে জাল বলে গণ্য করেছেন।[1]

আমাদের দেশে ‘সালাতুল হাজাত’ নামে আরো অনেক বানোয়াট পদ্ধতি প্রচলিত। যেমন: ‘‘হাজতের (খেজের আ.)-এর নামাজ। এ নামাজ ২ রাকাত। ... মনের বাসনা পূর্ণ হওয়ার জন্য খেজের (আঃ) জনৈক বোজর্গ ব্যক্তিকে শিক্ষা দিয়াছেন। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা কাফেরুন দশবার.... ইত্যাদি।’’ এগুলো সবই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথা।[2]

[1] তিরমিযী, আস-সুনান ২/৩৪৪; ইবনু হাজার, তাহযীব ৬/২২৯; তাকরীব, পৃ. ৪৪৪; ইবনুল জাওযী, আল-মাউদূ‘আত ২/৬১; সুয়ূতী, আল-লাআলী ২/৪৮; ইবনু আর্রাক, তানযীহ ২/১১০।

[2] মো. বসির উদ্দীন আহমদ, নেক আমল, পৃ. ১৬৮।