হাদীসের নামে জালিয়াতি ৯. জাল হাদীস চিহ্নিতকরণে বাঙালী আলিমগণ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি

আল্লামা কাযী নাসিরুদ্দীন আব্দুল্লাহ ইবনু উমার বাইযাবী (৬৮৫ হি) রচিত তাফসীর বাইযাবী বা আনওয়ারুত তানযীল গ্রন্থের বিভিন্ন হাদীস জাল বলে উল্লেখ করেছেন আবূ জাফর সিদ্দিকী। বিশেষত কুরআনের প্রতিটি সূরার ফযীলতে বর্ণিত হাদীস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন: ‘‘কুরআনের সূরাগুলির ফযীলতে বর্ণিত হাদীস এবং যে ব্যক্তি অমুক সূরা পাঠ করবে তার জন্য অমুক-তমুক সাওয়াব রয়েছে... এভাবে কুরআনের প্রথম সূরা থেকে শেষ সূরা পর্যন্ত সূরাগুলির ফযীলতে বর্ণিত হাদীস জাল। এ জাল হাদীস সা’লাবী ও ওয়াহিদী প্রত্যেক সূরার শুরুতে উল্লেখ করেছেন। আর যামাখশারী প্রত্যেক সূরার শেষে উল্লেখ করেছেন। বাইযাবী এবং আবুস সাঊদ মুফতী এভাবেই যামাখশারীর অনুসরণ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেছেন: আমার ধারণা যিন্দীকগণ এ হাদীসগুলিকে জাল করেছে। এ হাদীসের জালিয়াত নিজেই তার জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছে এবং বলেছে: আমি মানুষদেরকে ... কুরআনের মধ্যে ব্যস্ত রাখার জন্য এগুলি জাল করেছি।’’[1]

[1] আবূ জাফর সিদ্দিকী, প্রাগুক্ত: উর্দু, পৃ. ১২-৯৯, বাংলা, পৃ. ৪৮১-৪৮৪।