হাদীসের নামে জালিয়াতি ৮. মিথ্যা হাদীস বিষয়ক কিছু বিভ্রান্তি ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি

পূর্ববর্তী আলোচনা থেকে আমরা দেখেছি যে, জাল হাদীস দুর্বল হাদীসের একটি প্রকার। জাল হাদীসের বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মুহাদ্দিসগণ যেরূপ কঠোরতা অবলম্বন করেছেন, ‘যয়ীফ’ হাদীসের বিষয়ে অনেক মুহাদ্দিস তদ্রূপ কঠোরতা অবলম্বন করেন নি। দুটি ক্ষেত্রে তাঁরা ‘যয়ীফ’ হাদীসের ব্যবহার বা উল্লেখ কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন: (১) ‘আকীদা’ বা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে এবং (২) শরীয়তের আহকাম বা বিধানাবলির ক্ষেত্রে। প্রথম ক্ষেত্রে একমাত্র সহীহ হাদীসের উপর নির্ভর করতে হবে। শুধু তাই নয়, ‘আকীদা’ বা বিশ্বাস প্রমাণের ক্ষেত্রে মূলত ‘মুতাওয়াতির’ বা বহু সাহাবী ও তাবিয়ী বর্ণিত হাদীসের উপর অথবা সাহাবী-তাবিয়ীগণের মধ্যে প্রসিদ্ধ সহীহ হাদীসের উপর নির্ভর করতে হবে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ‘সহীহ’ ও ‘হাসান’ হাদীসের উপর নির্ভর করতে হবে।[1]

[1] সুয়ূতী, তাদরীবুর রাবী ১/১৩২; ইবনু জামায়াহ, আল-মানহালু রাবী, পৃ. ৩২, আব্দুল হাই লাখনবী, যাফরুল আমানী, পৃ. ৪৪-৪৭।