ব্যাংকের সুদ কি হালাল সূচি ও বিবরন শাইখ মুশ্তাক আহমাদ কারীমী ১ টি

এবারে ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ‘ফিন্যানসিং’ বা অর্থসংস্থান করা; অর্থাৎ অপরকে ব্যবসা ইত্যাদির জন্য পুঁজি যোগাড় করে দেওয়ার ইসলামী বিভিন্ন পদ্ধতি প্রসঙ্গে আলোচনায় আসা যাক। শরয়ী দৃষ্টিকোণে এর কতকগুলি পদ্ধতি হতে পারে ঃ-

১- শির্কত ও মুযারাবাহঃ সূদের সঠিক ও বিকল্প ইসলামী ব্যবস্থা হল শির্কত (অংশীদারী হয়ে ব্যবসা) এবং মুযারাবাহ (একজনের পুঁজি ও অপরজনের শ্রম ব্যয়ে ব্যবসা)। এ ধরনের ব্যবসার সুফল সূদী কারবারের তুলনায় বহুগুণে বেশী। আর উক্ত প্রকার ব্যবসায় অংশগ্রহণ করাই হল অর্থসংস্থানের নিতান্ত আদর্শ-ভিত্তিক ন্যায়সংগত ও ইনসাফপূর্ণ পদ্ধতি; যাতে লভ্যাংশ ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও বড় সুফল সন্নিবিষ্ট থাকে।

শির্কত ও মুযারাবাহর নিয়ম-ব্যবস্থা জারী হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত কারবারে রীতিমত ব্যাংকের কর্তৃত্ব চলবে। অর্থাৎ এক্ষণে তার পজিশন কেবল টাকা জমা রাখা ও তোলার কোন প্রতিষ্ঠানের মতই থাকবে না।

মূলতঃ ইসলামী ফিন্যানসিং পদ্ধতি শির্কত বা মুযারাবাহ হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে মুযারাবাহর রূপ দান করা সম্ভব হয় না। যেমন; কোন এক কৃষককে একটি ট্রাক্টর খরীদ করার জন্য পুঁজির প্রয়োজন হলে তাকে ‘মুযারাবাহ’ রূপে পুঁজি সংস্থান করা সম্ভব নয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আরো কয়েকটি ফিন্যানসিং পদ্ধতি নিম্নরূপঃ-

২- ইজারাঃ এটিও একটি শরয়ী ফিন্যানসিং পদ্ধতি; যাকে ইংরাজীতে (LEASING) (লীজ দেওয়া) বলে। এর নিয়ম হল এই যে, কৃষক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নিজে ট্রাক্টর ক্রয় করার পরিবর্তে কোন ব্যাংক অথবা অর্থ প্রতিষ্ঠানকে আবেদন জানাবে, যাতে এ ট্রাক্টর কিনে তাকে ভাড়া দেওয়া হয়।

এ ক্ষেত্রে ট্রাক্টরের মালিক হবে উক্ত ক্রয়কারী ব্যাংক বা অর্থ প্রতিষ্ঠান। আর কৃষক ভাড়াগ্রহণকারী হিসাবে তা গ্রহণ করবে। ভাড়া এমন হারে নির্ধারিত করা হবে, যেন তাতে ট্রাক্টরের দামও অসূল হয়ে যায় এবং ততটা মেয়াদের জন্য উক্ত অংকের অর্থ দ্বারা ব্যাংকের অংশীদারী কারবারে অংশী হলে যে মুনাফা আসত তাও লাভ হয়। যখন নির্দিষ্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে এবং ভাড়া আকারে প্রাপ্ত টাকার মাধ্যমে ট্রাক্টরের মূল্য তথা কিছু লাভও ওসূল হয়ে যাবে, তখন সেই ট্রাক্টরটি এ কৃষকের মালিকানাধীন থেকে যাবে।

৩- বিলম্বিত মুনাফা অর্জনঃ এটি এরূপে হবে যে, যখন কোন ব্যক্তি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে আসবে, তখন তাকে কোন্ জিনিস ক্রয় করার জন্য ঋণ নেবে তা প্রশ্ন করা হবে। ব্যাংক তাকে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে তার সেই দরকারী জিনিস নিজে ক্রয় করে পুনরায় তাকে লাভ রেখে ধারে বিক্রয় করবে। (সে ব্যক্তি তা সংগ্রহ করে কিস্তিতে টাকা মিটাবে।) লাভের একটি নির্দিষ্ট হার স্থির করে মুনাফালাভ এ জন্যই করা হবে; যাতে নিয়ম-ব্যবস্থায় ভারসাম্য বজায় থাকে এবং সকল শ্রেণীর মানুষের নিকট থেকেই লাভ একই হারে আদায় করা সম্ভব হয়। এই লাভের যে নির্দিষ্ট হার স্থির করা হয় তাকে ইংরাজীতে (MARK UP) (মার্ক আপ) বলা হয়।

এরূপ বিলম্বিত মুনাফা লাভের সাথেও অর্থসংস্থান করা এক প্রকার বৈধ ফিন্যানসিং হতে পারে। তবে এতে শর্ত এই যে, তা যেন সঠিক আকারে জরুরী শর্তাবলী পালনের সাথে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু ধারে বিক্রয়ের জন্য দাম বেশী নেওয়া ফকীহগণের নিকট সর্বসম্মতভাবে বৈধ। পরন্তু ইসলামী ব্যাংকগুলোতেও এই শেষোক্ত পদ্ধতির উপর বড় ব্যাপক আকারে আমল করা হচ্ছে। কিন্তু এটা নেহাতই স্পর্শকাতর পদ্ধতি। কারণ এতে কিঞ্চিৎ পরিমাণের অসাবধানতা একে বৈধ কারবার থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে সূদী কারবারের ভাগাড়ে ফেলে দিতে পারে।

আমার প্রিয় মুসলিম ভাইসকল! সূদী কারবার হল সর্বনাশী ও বিশ্ব বিধ্বংসিতার দুয়ার ও পথ এবং ব্যাংক হল তার আন্তর্জাতিক বাজার। আর এই হল সেই সর্বনাশের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার লক্ষ্যে আমলযোগ্য ইসলামী পদ্ধতি।

আল্লাহ তাআলা বলেন:

﴿وَقَدْ فَصَّلَ لَكُمْ مَا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ إِلَّا مَا اضْطُرِرْتُمْ إِلَيْهِ﴾

অর্থাৎ, ---আল্লাহ তোমাদের জন্য যা হারাম করেছেন তা বিশদভাবে তোমাদের নিকট বিবৃত করেছেন; তবে নিরুপায় অবস্থার কথা স্বতন্ত্র। (সূরা আনআম ১১৯ আয়াত)

যেহেতু আল্লাহ তাআলা তাঁর হারামকৃত জিনিসগুলোকে বিশদ ও স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন সেহেতু যথাসাধ্য চেষ্টা-সাধনা করে সূদ থেকে বাঁচা একজন পাক্কা-সাচ্চা মুসলিমের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। বরং যেখানে সূদের গন্ধ আছে, যে পয়সায় সূদের মিশ্রণ আছে বলে সন্দেহ আছে সেখান ও সে পয়সা হতে দূরে থাকাও তার জন্য জরুরী। কেন না যে ব্যক্তি আল্লাহর (হারাম) সীমারেখার ধারেপাশেই ঘোরাফেরা করে তার জন্য এই আশঙ্কা থাকে যে, কখন যে তার পা পিছল কেটে এ হারাম ও নিষিদ্ধ সীমায় গিয়ে আপতিত হয়ে যাবে, সে তার আদৌ টের পাবে না।

প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আরো একটি ভয় সর্বদা এই রাখা ওয়াজেব যে, যাতে সে নিজে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের সেই বাণীর মূর্তপ্রতীক না হয়ে যায়, যাতে তিনি বলেছেন,

يَأتِيْ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لاَ يُبَالِي المَرْءُ فِيهِ بِمَا أَصَابَ مِنَ الْمَالِ أَمِنْ حَلاَلٍ أَمْ مِنْ حَرَام.

অর্থাৎ, ‘‘মানুষের উপর এমন একটি যুগ (অবশ্যই) আসবে, যখন সে এ কথার কোন পরোয়াই করবে না যে, সে যা গ্রহণ (উপার্জন) করছে তা হালালের শ্রেণীভুক্ত অথবা হারামের।’’ (বুখারী ২০৫৯, ২০৮৩নং)

উপরন্তু এ ভয়েও মুসলিমকে কেঁপে ওঠা দরকার যে, যাতে সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের এই বাণীর মূর্তপ্রতীক না হয়ে যায়, যাতে তিনি বলেছেন,

لَيَشْرَبَنَّ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِى الْخَمْرَ يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا.

‘‘আমার উম্মতের একদল লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা অবশ্যই পান করবে।’’ (মুসনাদে আহমদ ৫/৩৪৩, সহীহুল জামে ৫৪৫৩নং)

সুতরাং অনুরূপভাবে সেও সূদের মনোলোভা হালালসূচক নাম ‘লভ্যাংশ, বোনাস বা অনুদান’ দিয়ে তা ভক্ষণ করছে না তো? অথচ খোদ ব্যাংকওয়ালারা তার নাম রেখেছে সূদ বা ইনটারেষ্ট। আর যথার্থতা ও প্রকৃষ্টতা প্রমাণের জন্য দুশমনের সাক্ষ্যই অধিক ফলপ্রসূ।

যারা ব্যাংকের সূদকে হালাল বলে ফতোয়া দেন তাঁদেরকে নিজেদের উক্ত ফতোয়া নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। নচেৎ এ রকম তো নয় যে, তাঁরা ইসলামের দুশমনদের সহায়তা এবং আল্লাহ তাআলার উপর মিথ্যা রচনা করেছেন? আল্লাহ তাআলা বলেন:

﴿قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْزَلَ اللهُ لَكُمْ مِنْ رِزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِنْهُ حَرَاماً وَحَلالاً قُلْ آللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ﴾

অর্থাৎ, (হে নবী! তুমি) বল, ‘কি রায় তোমাদের, আল্লাহ তোমাদেরকে যে রুজী দান করেছেন তোমরা যে তার কিছুকে অবৈধ ও বৈধ করে নিয়েছ’; বল, ‘আল্লাহ কি তোমাদেরকে এর অনুমতি দিয়েছেন; নাকি তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করছ?’ (সূরা ইউনুস ৫৯ আয়াত) তিনি আরো বলেন:

﴿وَلا تَقُولُوا لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَذَا حَلالٌ وَهَذَا حَرَامٌ لِتَفْتَرُوا عَلَى اللهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللهِ الْكَذِبَ لا يُفْلِحُونَ﴾

অর্থাৎ, তোমাদের মুখ থেকে সাধারণতঃ মিথ্যা বের হয়ে আসে বলে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে বলো না যে, ‘এটা হালাল আর এটা হারাম।’ নিশ্চয় যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে তারা সফলকাম হবে না। (সূরা নাহ্ল ১১৬ আয়াত)

অথবা তাঁরা এ কথার বাস্তব নমুনা তো নন, যে কথা আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) আব্দুল্লাহ বিন আববাসকে (রাঃ) বলেছিলেন, ‘হে ইবনে আববাস! আর কতদিন যাবৎ লোকদেরকে সূদ খাওয়াতে থাকবেন? শুধু আপনি কি আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর সাহচর্য পেয়েছেন, আর আমরা পাইনি? শুধু আপনিই কি রসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট থেকে হাদীস শুনেছেন, আর আমরা শুনিনি?’ এ কথা শুনে আব্দুল্লাহ বিন আববাস বললেন, ‘আপনি যা ভাবছেন তা নয়; বরং উসামা বিন যায়েদ আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘‘সূদ তো কেবল ঋণেই পাওয়া যায়।’’ তা শুনে আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বললেন,

والله لا آواني وإياك ظل بيت ما دمت على هذا القول.

অর্থাৎ, আল্লাহর কসম! ততদিন পর্যন্ত কোন গৃহের ছায়া আমাদেরকে আশ্রয় দেবে না, যতদিন পর্যন্ত আপনি উক্ত ফতোয়ার উপর অটল থাকবেন! (অর্থাৎ, ততদিন আমি আপনার সহিত দেখা-সাক্ষাৎ করব না।) (দেখুন, আল মাবসূত্ব, সারখাসী ২/১১১-১১২, মাওয়াক্বিফুশ্ শারীআতি মিনাল মাসারিফিল ইসলামিয়্যাতিল মুআসিরাহ)

আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) এর ফতোয়া ছিল যে, কেবল ঋণের কারবারেই সূদ পাওয়া যায় এবং একই শ্রেণীভুক্ত দুটি জিনিসের কম বেশী করে হাতেহাতে লেন-দেনে সূদ হয় না। যেমন, সোনার পরিবর্তে সোনা বেশী (হাতেহাতে) নেওয়া বৈধ । অথচ তা উবাদা বিন সামেত (রাঃ) এর হাদীসের স্পষ্ট উক্তি অনুসারে হারাম ও সূদ। অবশ্য পরবর্তীকালে আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) এই হাদীস শুনে তাঁর উক্ত ফতোয়া দান করা হতে বিরত হয়েছিলেন। (দেখুন, মুগনী, ইবনে কুদামাহ ৪/৩)

আমার প্রিয় মুমিন ভাই! যদি আমাদের কেউ না জানার কারণে অথবা কোন শয়তানী চক্রান্তে পড়ে অথবা মনের কুপ্রবৃত্তিবশে অথবা কারো ফতোয়ায় ধোঁকা খেয়ে ব্যাংক থেকে সূদ নিয়ে তা ব্যবহার করে ফেলেছে, কিংবা (বিকল্প উপায় থাকা সত্ত্বেও) ব্যাংক থেকে লোন বা ঋণ নিয়ে তাকে সূদ প্রদান করেছে, তাহলে তার অপরিহার্য কর্তব্য হল সত্বর তওবা করা এবং এই সংকল্প করা যে, আমরা আর সূদ নেওয়া ও দেওয়ার মত বড় গোনাহতে নির্বিচল থাকব না। বরং সেই সকল লোকেদের দলভুক্ত হতে যথাসাধ্য প্রয়াস করব, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا اللهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُونَ (135) أُولَئِكَ جَزَاؤُهُمْ مَغْفِرَةٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَجَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِين﴾

অর্থাৎ, (তারা মুত্তাকীন) যারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর যুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনেশুনে তাই (বারবার) করতে থাকে না। তাদেরই জন্য প্রতিদান হল তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত; যার তলদেশে প্রবাহিত আছে বিভিন্ন প্রস্রবণ---সেখানে তারা অনন্তকাল বাস করবে। আর যারা সৎকর্ম করে তাদের জন্যে কতই না চমৎকার প্রতিদান! (সূরা আ-লি ইমরান ১৩৫-১৩৬ আয়াত)

সুতরাং আমরা আল্লাহর নিকট নিজ কৃতপাপের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হব। আল্লাহ অবশ্যই নিতান্ত ক্ষমাশীল, পরম করুণাময় ও দয়াবান। তাঁর নিকট কোন সংকীর্ণতা নেই। তিনি তো আমাদেরকে পাপমুক্ত করতে চান। অতএব যতশীঘ্র সম্ভব তত শীঘ্রই আমাদেরকে গোনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার উপায় অবলম্বন করা উচিত।

আল্লাহ তাআলা বলেন:

﴿مَا يُرِيدُ اللهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ حَرَجٍ وَلَكِنْ يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ﴾

অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না। বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান ও তোমাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। (সূরা মায়েদাহ ৬ আয়াত) তিনি আরো বলেন,

﴿أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ﴾

অর্থাৎ, ঈমানদার ব্যক্তিবর্গের জন্য এখনো কি সেই সময় আসেনি যে, আল্লাহর স্মরণ ও সত্য অবতীর্ণ হওয়ার ফলে তাদের হৃদয় বিগলিত হয়ে উঠবে?[1]

[1] (সূরা আল-হাদীদ ১৬ আয়াত)