ব্যাংকের সুদ কি হালাল সূচি ও বিবরন শাইখ মুশ্তাক আহমাদ কারীমী ১ টি

ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহের এমন সীমাহীন এখতিয়ার থাকে না যে, সে যেখানে ইচ্ছা সেখানে এবং যত ইচ্ছা তত পরিমাণে ঋণ সরবরাহ করতে পারে। বরং রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে একটা সীমা নির্দিষ্ট করা হয়। সেই সীমার অনুবর্তী হয়ে ব্যাংক ঋণ প্রদান করতে পারে। উক্ত ‘সীমা’কে ইংরাজীতে CREDIT CEILING বলা হয়। যেমন বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয় তা এই যে, ব্যাংক তার সমস্ত গচ্ছিত অর্থের ৪০ শতাংশ রিজার্ভ ব্যাংকে জমা রাখবে; যাকে ইংরাজীতে LIQUIDITY RESERVE বলে। এরপর ৫ শতাংশ নগদ CASH রূপে নিজের কাছে জমা রাখবে। ৩০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ দ্বারা ব্যক্তিগত কাউকে বা কোন সংস্থা বা কোম্পানীকে ঋণ সরবরাহ করবে। অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ অর্থ থেকে সরকারী তমসুক (GOVT. SECURITIES) ক্রয় করবে, নতুবা সরকারী সংস্থাগুলোকে ঋণ সরবরাহ করবে ।

CREDIT CEILING এ সীমাবদ্ধ থেকে ব্যাংকসমূহের ঋণ প্রদানের পদ্ধতি এই হয় যে, সর্ব প্রথম ব্যাংক একটি পরিসংখ্যান নিয়ে দেখে যে, যে ব্যক্তি ঋণ নিতে চায়, সে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে তা আদায় করতে পারবে কি না? সে ব্যক্তির জমি-জমা কত এবং তার মালিকানাধীন বিষয়-বস্ত্ত কি? এই পরিসংখ্যান নেওয়ার পর ব্যাংক একটা সময়-সীমা নির্দিষ্ট করে দেয় যে, এত সময়ের মধ্যে সে এত পরিমাণ অর্থ দিতে প্রস্ত্তত আছে; যা প্রয়োজন অনুপাতে সময় সময় নিতে পারা যাবে। ঋণের অর্থ-পরিমাণ সীমিত করাকে ইংরাজীতে SANCTION OF THE LIMIT বলে। পরিমাণ নির্ধারণের পর এ ঋণপ্রার্থী ব্যক্তির জন্য ব্যাংকে একটা একাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে এ একাউন্ট থেকে তার যখন ও যত ইচ্ছা ঋণ নিতে পারে। এই একাউন্ট খোলার দরুন ব্যাংক খুবই স্বল্প (প্রায় ৫ শতাংশ) হারে সূদও গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু যখন সে ঋণ তুলে নেয়, তখন নিয়মিত হারে সূদ নিতে আরম্ভ করে।