রোযার দ্বিতীয় প্রকার হল সুন্নত, নফল (অতিরিক্ত) রোযা; যা পালন করা মুসলিমের জন্য ওয়াজেব নয়। কিন্তু পালন করলে ফযীলত ও সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়।

মহান আল্লাহর একটি হিকমত ও অনুগ্রহ এই যে, তিনি ফরয ইবাদতের মতই নফল ইবাদতও বিধিবদ্ধ করেছেন। তিনি যে আমল ফরয করেছেন, অনুরূপ সেই আমল নফলও করেছেন বান্দার জন্য। ফরয ইবাদতের মাঝে একদিকে যেমন ঘটিত ত্রুটি নফল ইবাদত দ্বারা পূরণ হয়ে যায়। তেমনি অপর দিকে তারই মাধ্যমে আমলকারীর নেকী ও সওয়াব বৃদ্ধি হয়। পক্ষান্তরে তা বিধিবদ্ধ না হলে তা পালন করা ভ্রষ্টকারী বিদআত বলে গণ্য হত। আর হাদীসে বলা হয়েছে যে, ‘‘কিয়ামতের দিন নফল ইবাদত দ্বারা ফরয ইবাদতের অসম্পূর্ণতা পূর্ণ করা হবে।’’[1]

[1] (আহমাদ, মুসনাদ ২/৪২৫, আবূ দাঊদ ৮৬৪নং, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, হাকেম, মুস্তাদ্রাক ১/২৬২, সহীহ আবূ দাঊদ ৭৭০নং)