ইবনে মাসঊদ (রাঃ) তকবীর পাঠ করে বলতেন,

(اللهُ أَكْبَر، اَللهُ أَكْبَر، لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَالله أَكْبَر، اَلله أَكْبَر، وَللهِ الْـحَمْد).

‘আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার অলিল্লাহিল হাম্দ।’[1]

ইবনে আববাস (রাঃ) বলতেন,

(اللهُ أَكْبَر، اَللهُ أَكْبَر، اَلله أَكْبَر، وَللهِ الْحَمْد، اَللهُ أَكْبَر وَأَجَلُّ، اَلله أَكْبَر عَلىَ مَا هَدَانَا)

‘আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, অলিল্লাহিল হাম্দ। আল্লা-হু আকবার অ আজাল্ল্, আল্লাহু আকবার আলা মা হাদা-না।’[2]

অন্য এক বর্ণনায় আছে,

(اللهُ أَكْبَر كَبِيْراً، اَلله أَكْبَركَبِيْراً، اَللهُ أَكْبَر وَأَجَلُّ، اَلله أَكْبَر، وَللهِ الْـحَمْد)

‘আল্লা-হু আকবার কাবীরা, আল্লা-হু আকবার কাবীরা, আল্লা-হু আকবার অ আজাল্ল্, আল্লাহু আকবার, অলিল্লাহিল হাম্দ।’[3]

মহিলারাও এই তকবীর পাঠ করবে, তবে নিম্নস্বরে। যাতে গায়র মাহরাম কোন পুরুষ তার এই তকবীর পাঠের শব্দ না শুনতে পায়। উম্মে আতিয়্যাহ (রাঃ) বলেন, ‘--- এমনকি আমরা ঋতুমতী মহিলাদেরকেও ঈদগাহে বের করতাম। তারা পুরুষদের পিছনে অবস্থান করত; তাদের তকবীর পড়া শুনে তারাও তকবীর পাঠ করত এবং তাদের দুআ শুনে তারাও দুআ করত। তারা ঐ দিনের বর্কত ও পবিত্রতা আশা করত।’[4]

পক্ষান্তরে সমবেত কণ্ঠে সমস্বরে জামাআতী তকবীর অথবা একজন বলার পর অন্য সকলের একই সাথে তকবীর পাঠ বিদআত। যেহেতু যিক্র-আযকারে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর আদর্শ হল, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ যিক্র একাকী পাঠ করবে। সুতরাং তাঁর ও তাঁর সাহাবাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়া কারো জন্য উচিত নয়।[5]

[1] (ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ ৫৬৫০, ৫৬৫২নং, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১২৫)

[2] (বাইহাকী ৩/৩১৫, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১২৫)

[3] (ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ ৫৬৪৫, ৫৬৫৪, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১২৫)

[4] (বুখারী ৯৭১, মুসলিম ৮৯০নং)

[5] (আসইলাতুন অআজবিবাতুন ফী সবলাতিল ঈদাঈন ৩১-৩২পৃঃ)