ফিতরার যাকাতের হকদার হল গরীব মানুষরা এবং সেই ঋণগ্রস্ত মানুষরা, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। এই শ্রেণীর মানুষদেরকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যাকাত দেওয়া যাবে।

একটি ফিতরা কয়েকটি মিসকীনকে দেওয়া চলবে। যেমন কয়েকটি ফিতরা দেওয়া চলবে একটি মাত্র মিসকীনকে। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কত দিতে হবে তা নির্ধারণ করেছেন; কিন্তু কয়জন মিসকীনকে দিতে হবে, তা নির্ধারণ করেন নি।

সুতরাং যদি কয়েক জন মিলে নিজ নিজ ফিতরা মেপে এক জায়গায় জমা করে এবং তারপর না মেপেই মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করে তাহলে তাতে কোন ক্ষতি নেই। তবে এ কথা মিসকীনদেরকে জানিয়ে দেওয়া উচিত যে, তারা ঐ দানের পরিমাণ জানে না। নচেৎ, মাপা আছে মনে করে কেউ ঐ ফিতরা নিজের তরফ থেকে আদায় দিলে ধোকায় পড়তে পারে।

বলা বাহুল্য, মিসকীন কারো কাছ থেকে ফিতরা নিয়ে সেই ফিতরাই নিজের অথবা পরিবারের কারো তরফ থেকে অন্য মিসকীনকে ফিতরা হিসাবে দিতে পারে। অবশ্য সে তা মেপে নেবে অথবা যে দিয়েছে তার কাছ থেকে বিশ্বাস্যরূপে জেনে নেবে যে, তা পরিপূর্ণ একটি ফিতরা।[1]

[1] (মাজালিসু শাহরি রামাযান মজলিস নং ২৮)