কাছের মসজিদ ছেড়ে দূরের মসজিদে নামায

কাছের মসজিদের ইমামের যদি ক্বিরাআত ভালো না হয়, তাহলে সুন্দর ক্বিরাআত বা সুমধুর আওয়াজের জন্য দূরের মসজিদে গিয়ে নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। অবশ্য এতে উদ্দেশ্য হবে, সুমধুর ক্বিরাআতে তার নামাযে বিনয়-নম্রতা বৃদ্ধি পাবে এবং সে নামাযে পরিতৃপ্ত হয়ে তার হৃদয় প্রশান্ত হবে। আর খবরদার! তাতে যেন মনে কোন প্রকার খেয়াল-খুশী বা কারো প্রতি খামাখা বিদ্বেষ অথবা অন্যায় দোষারোপ না থাকে।

তদনুরূপ যদি কারো দূরের মসজিদে যাওয়ার উদ্দেশ্য বেশী পদক্ষেপের ফলে বেশী বেশী সওয়াব নেওয়া হয়, তাহলে তাও একটি মহৎ উদ্দেশ্য।[1]

অনুরূপভাবে যদি কাছের মসজিদের ইমাম সঠিকভাবে (যথানিয়মে রুকূ-সিজদাহ করার সাথে) নামায না পড়ে, অথবা কোন বিদআতী আমল অথবা কোন প্রকাশ্য ফাসেকী কর্মদোষে অভিযুক্ত হন, তাহলেও তাঁর পশ্চাতে নামায না পড়ে দূরের মসজিদে ভালো ইমামের পিছনে নামায পড়তে যাওয়া দূষণীয় নয়।

তবে সতর্কতার বিষয় যে, যদি একাজে পাশর্ববর্তী মসজিদ পরিত্যক্ত হওয়ার ছিদ্রপথরূপে গণ্য হয় অথবা সে মসজিদের ইমামের মনে ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা হয়, তাহলে দূরবর্তী মসজিদে যাওয়া বৈধ নয়। কারণ, আব্দুল্লাহ বিন উমার (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক বর্ণিত যে, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘লোকে যেন তার পাশর্ববর্তী মসজিদে নামায পড়ে এবং এ মসজিদ সে মসজিদ করে না বেড়ায়।’’[2]

বলা বাহুল্য, নিষেধ অমান্য করে কোন ফযীলত বা মাহাত্ম্য অর্জন সম্ভব নয়। তাছাড়া উক্ত কাজে ঐ ভালো ইমামও ফিতনায় (গর্ব বা অহমিকায়) পড়তে পারেন। সুতরাং সাবধান![3]

[1] (সালাতুল-লাইলি অত্-তারাবীহ, ইবনে বায ৯-১০পৃঃ)

[2] (ত্বাবারানী, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২২০০নং)

[3] (কাই নাস্তাফীদা মিন রামাযান ২২-২৩পৃঃ টীকা, মারবিয়াতু দুআ-ই খাতমিল কুরআন, ডঃ বাক্র আবূ যায়দ ৮০-৮১পৃঃ)