আমি তাওবা করতে চাই . . কিন্তু ! অনুচ্ছেদ সমুহের সূচী ও বিবরন শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ ১ টি
পাপ আমার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে

আপনি হয়তো বলতে পারেন, আমি অনেক পাপ করেছি এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করেছি। কিন্তু আমার পাপ আমাকে তাড়া করে চলেছে। যখন এসব পাপের কথা মনে পড়ে তখন আমার দম বন্ধ হয়ে আসে, আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে, আরামদায়ক বিছানাও কষ্টদায়ক মনে হয়, চিন্তায় রাত কাটে না, কোন কিছুতেই শান্তি পাই না, আমার শান্তির পথ কোন দিকে?

হে মুসলিম ভাই! আপনাকে বলছি, এই অনুভূতিই সত্যিকার তাওবারই প্রমাণ বহন করে এবং এটিই হলো প্রকৃত পক্ষে অনুতপ্ত হওয়া। অনুতপ্ত হওয়াটাই হলো তাওবা। সুতরাং যা ঘটে গেছে, সে ব্যাপারে আশাবাদী হোন যে, আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে নিরাশ হবেন না, তার করুণার ব্যাপারে হতাশ হবেন না। মহান আল্লাহ বলেন:

‘‘পথভ্রষ্ট ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্য কেউ আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয় না।’’ (সূরা আল-হিজর: ৫৬)

হযরত ইবনে মাসউদ রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন:

(أَكْبَرُ الْكَبَائِرِ الإِشْرَاكُ بِاللهِ، والأَمْنُ مِنْ مَكْرِ اللهِ، والْقُنُوطُ مِنْ رَحْمَةِ اللهِ، وَالْيَأسُ مِنْ رَوْحِ اللهِ) (رواه عبد الرزاق وصححه الهيثمي وابن كثير)

‘‘সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ হলো আল্লাহর সাথে শিরক করা এবং আল্লাহর কৌশল থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করা, আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে নিরাশ হওয়া এবং আল্লাহর দয়ার ব্যাপারে হতাশ হওয়া।’’ (আবদুর রাজ্জাক, হায়সামী এবং ইবনে কাসীর এটিকে সহীহ বলেছেন)

একজন মুমিন বান্দা ভয় ও আশার মধ্যে থাকবে। কখনো হয়তো এর কোনটি প্রাধান্য পাবে। বিশেষ অবস্থায় যখন পাপ করবে তখন ভয়ের দিকটা বেশী হবে তাওবা করার জন্য এবং যখন তাওবা করবে তখন আশার দিকটা প্রধান্য পাবে, আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করবে।