নাবী (ﷺ) মদ্বীনার ইহুদীদের সাথে একটি সন্ধি চুক্তি রচনা করলেন। এই মর্মে নাবী (ﷺ) ও তাদের মাঝে একটি লিখিত চুক্তিও সম্পাদিত হল। ইহুদীদের একজন বড় আলেম ছিলেন আব্দুল্লাহ বিন সালাম। তিনি ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিলেন। অন্যরা কুফরীর মধ্যেই রয়ে গেল। মদ্বীনাতে ছিল তিনটি ইহুদী গোত্র। বনু কায়নুকা, বনু নযীর এবং বনু কুরায়যা। এই তিনটি ইহুদী গোত্র রসূল (ﷺ)-এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। কিন্তু তিনি অনুগ্রহ করে বনু কায়নুকাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে বনু নযীরকে মদ্বীনা হতে বহিস্কার করেছেন এবং বনু কুরায়যাকে হত্যা করেছেন। আর বনু কুরায়যার অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদেরকে দাসে পরিণত করেছেন। বনু নযীরের ব্যাপারে সূরা হাশর এবং বনু কুরায়যার ব্যাপারে সূরা আহযাব নাযিল হয়েছে।