প্রশ্ন: এভাবে ব্যাংকের শেয়ার কেনার হুকুম কী যে কিছুদিন পর তা এক হাজার টাকা থেকে উন্নীত হয়ে ১৩০০ টাকা হয়ে যাবে। এটা কী সুদ বলে গণ্য হবে?

উত্তর: ব্যাংকের শেয়ার কেনাবেচা করা জায়িয নেই। কারণ এটা হস্তগত করা এবং সমতা রক্ষার শর্ত পুরণ না করে মুদ্রার বিনিময়ে মুদ্রা বেচার শামিল- যা হারাম। দ্বিতীয়ত এটা সুদী প্রতিষ্ঠান যেখানে কোনো রূপ সাহায্য করা বৈধ নয়। কারণ ইরশাদ হয়েছে- ‘সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না।’[1] এবং এ জন্য যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত যে, তিনি সুদদাতা, গ্রহীতা, সুদের লেখক এবং সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ দিয়েছেন। আখ্যায়িত করেছেন এদের সকলকে সমান অপরাধী বলে।[2]

  • তবে আপনি এবং সকল মুসলমানের প্রতি আমার অনুরোধ, যে কোনো মূল্যে সব ধরণের সুদী লেনদেন থেকে বিরত থাকুন। আর অতীত লেনদেনের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করুন। কারণ সুদী লেনদেন করার অর্থ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। আল্লাহর গোস্বা ও আজাবকে অবধারিত করা। তিনি যেমন ইরশাদ করেছেন- ‘যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।

আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদাকাকে বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ কোন অতি কুফরকারী পাপীকে ভালবাসেন না।[3] তিনি আরও ইরশাদ করেন- ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও।’[4] আর এ সম্পর্কে হাদিস তো আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। [5]

[1]. মায়িদা : ০২

[2]. মুসলিম : ১৫৯৭

[3]. বাকারা : ২৭৫-২৭৬

[4]. বাকারা : ২৭৮-২৭৯

[5]. ইসলামি ফতোয়া সংকলন : ২/৩৯৯-৪০০