১১, ১২, ও ১৩ জিলহজ্জ কঙ্কর নিক্ষেপ প্রসঙ্গ

কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। কঙ্কর নিক্ষেপের দিন চারটি। ১০, ১১,১২, ১৩ জিলহজ্জ। ১০ জিলহজ্জ কেবল বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয় যা ইতোপূর্বে সেরে নিয়েছেন। অন্যান্য দিন (১১,১২,১৩ তারিখ) তিন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। এ দিনগুলোয় কঙ্কর নিক্ষেপের প্রথম ওয়াক্ত শুরু হয় দুপুরে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর থেকে, চলতে থাকে দিবাগত রাতে সুবেহ সাদেক উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত।

১১ জিলহজ্জ সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তিন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। প্রথমে ছোট জামরায় ৭ টি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন।[1] কাবা শরীফ বাম দিকে ও মিনা ডান দিকে রেখে দাঁড়াবেন। খুশুখুজুর সাথে আল্লাহর শিআর -নিদর্শনের- যথাযথ তাজিম বুকে নিয়ে একটি একটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। ‘আল্লাহ আকবার’ বলে প্রতিটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। ছোট জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ শেষ হলে একটু সামনের এগিয়ে যাবেন। কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াবেন ও হাত উঠিয়ে দীর্ঘ মোনাজাত করবেন। এরপর মধ্য জামরায় যাবেন। এখানেও ৭টি কঙ্কর একই কায়দায় নিক্ষেপ করবেন। নিক্ষেপের পর সামান্য এগিয়ে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে আবারও দীর্ঘ মোনাজাত করবেন। এরপর বড় জামরায় কঙ্কর মারতে যাবেন। নিয়ম মতো এখানেও ৭টি কঙ্কর মারবেন, তবে এবার আর দোয়া করতে হবে না, কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করে দাঁড়ান নি।[2] কঙ্কর মারা শেষ হলে তাঁবুতে ফিরে আসবেন।

[1] - যা মসজিদে খায়েফের নিকটে ও মিনার দিক থেকে পদব্রজিদের রাস্তা হয়ে এলে, প্রথমে অবস্থিত। এ জামরাকে ‘ জামরাতুস্সুগরা’ বলেও ডাকা হয়।

[2] - عن ابن عباس رضي الله عنهما : أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا رمى جمرة العقبة مضى ولم يقف - ইবনে আববাস (র) থেকে বর্ণীত : রাসূলুল্লাহ (সাঃ)যখন বড় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করে শেষ করতেন, তখন তিনি চলে যেতেন, দাঁড়াতেন না। (ইবনে মাযাহ)