ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ঈমান শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি
প্রশ্ন: (৩৯) আল্লাহর কোনো নাম বা গুণ অস্বীকার করার হুকুম কী?

উত্তর: আল্লাহর নাম ও গুণ অস্বীকার করা দু‘ধরণের হতে পারে:

(১) মিথ্যা প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে অস্বীকার করা। এটা নিঃসন্দেহে কুফুরী। সুতরাং যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহর কোনো নামকে অস্বীকার করে অথবা কুরআন ও সুন্নাহয় বর্ণিত আল্লাহর কোনো গুণকে অস্বীকার করে, যেমন বলল, আল্লাহর কোনো হাত নেই, এ ধরণের কথা মুসলিমর ঐক্যমতে সম্পূর্ণ কুফুরী। কেননা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সংবাদকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা কুফুরী এবং তা ইসলাম থেকে মানুষকে বের করে দেয়।

(২) ব্যাখ্যার মাধ্যমে অস্বীকার করা। তা হলো সরাসরি অস্বীকার না করে ব্যাখ্যা করে অস্বীকার করা। এটি আবার দু‘প্রকার।

(ক) ব্যাখ্যাটি আরবী ভাষা অনুপাতে হওয়া। এটি কুফুরী নয়।

(খ) আরবী ভাষাতে ব্যাখ্যাটির পক্ষে কোনো প্রকার যুক্তি না থাকা। এটি কুফুরীকে আবশ্যক করে। ব্যাখ্যার কোনো সুযোগ না থাকলে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী হিসাবে সাব্যস্ত হবে। যেমন, কেউ বলল, প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর কোনো ‘হাত’ নেই। এমনকি ‘নি‘আমত’ কিংবা ‘শক্তি’ অর্থেও নেই। এ রকম বিশ্বাস পোষণকারী কাফির। কেননা সে সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর নাম ও গুণাবলীকে অস্বীকার করল। আর যদি আল্লাহর বাণী, (بَلۡ يَدَاهُ مَبۡسُوطَتَانِ) “বরং তাঁর দু’হাত প্রসারিত।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৬৪]-এর ব্যাখ্যায় কেউ বলে এখানে আল্লাহর দু’হাত দ্বারা আকাশ-জমিন উদ্দেশ্য, সে কাফির হিসেবে গণ্য হবে। কারণ, আরবী ভাষাতে এধরণের ব্যাখ্যা ঠিক নয় এবং শরঈ বাস্তবতারও পরিপন্থী; কিন্তু হাতকে যদি নি‘আমতের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে কিংবা শক্তির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে, তাহলে কাফির হবে না। কারণ, ‘হাত’ কখনো কখনো ‘নি‘আমত’ অর্থে ব্যবহার হয়; কিন্তু হাতের প্রকৃত অর্থ পরিত্যাগ করলে অবশ্যই বিদ‘আতীদের দলভুক্ত হবে।