ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ছিয়াম (রোযা) শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি
প্রশ্ন: (৪৪২) আশুরা সিয়ামের বিধান কী?

উত্তর: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদীনা আগমণ করে দেখেন ইয়াহূদীরা মুহার্রামের দশ তারিখে সাওম পালন করছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

«فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ»

“আমরা মূসার অনুসরণ করার ব্যাপারে তোমাদের চাইতে অধিক হকদার। তিনি নিজে সে দিনের সাওম রাখলেন এবং সাহাবীগণকেও নির্দেশ দিলেন।”[1] বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত ইবন আববাসের হাদীসে বলা হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরা দিবসে সাওম রেখেছেন এবং সাহাবীগণকে সাওম রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। এ সাওমের ফযীলত সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ “আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।”[2] কিন্তু ইয়াহূদীদের বিরোধীতা করার জন্য তিনি এর একদিন পূর্বে ৯ তারিখ অথবা এক দিন পরে ১১ তারিখ সাওম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।সুতরাং আশুরার সাওমের ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে, মুহার্রমের দশ তারিখের সাথে ৯ তারিখ অথবা ১১ তারিখের সাওম রাখা। অবশ্য ১১ তারিখের চেয়ে ৯ তারিখ সাওম রাখা অধিক উত্তম।

[1] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: আশুরার সিয়াম সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: আশুরার সিয়াম।
[2] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: প্রত্যেক মাসে তিনটি এবং ‘আরাফার দিবসে সিয়াম রাখা মুস্তাহাব।