সফরে গিয়ে নির্দিষ্ট দিন থাকার সংকল্প না হলে, বরং কাজ হাসিল হলেই ফিরে আসার নিয়ত হলে অথবা পথে কোন বাধা পড়লে যতদিন ঐ কাজ না হবে অথবা বাধা দূর না হবে ততদিন সফরে কসর করা চলবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪০৬-৪০৭)

মহানবী (ﷺ) এক সফরে ১৯ দিন ছিলেন এবং তাতে নামায কসর করেছেন। (বুখারী ১০৮০নং) হযরত আনাস (রাঃ) শাম দেশে ২ বছর ছিলেন এবং ২ বছরই নামায কসর করে পড়েছেন। (মালেক, মুঅত্তা ৩/৪৮৮, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৮৬)

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ইবনে উমার (রাঃ) পথে বরফ থাকার ফলে আযারবাইজানে ৬ মাস আটক ছিলেন এবং তাতে কসর করে নামায পড়েছিলেন। (আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ ২/৪৩৩৯, বায়হাকী ৩/১৫২)

কিছু সাহাবা রামাহুরমুযে ৭ মাস অবস্থান কালে কসর করে নামায পড়েছিলেন। (বায়হাকী ৫২৬৭নং) পক্ষান্তরে বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলে; ব্যবসা, চাকুরী, অধ্যয়ন প্রভৃতির জন্য বিদেশে থাকতে হলে তখন আর কসর চলবে না।

বাকী থাকল এত দিন সফরে থাকার নিয়ত করলে কসর চলবে এবং এত দিন করলে চলবে না, তো সে কথার উপযুক্ত দলীল নেই। ৪ কিংবা তার থেকে বেশী দিনের অবস্থান নিয়তে থাকলেও যতদিন তার কাজ শেষ না হয়েছে ততদিন মুসাফির মুসাফিরই; যতক্ষণ না সে স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়ত করেছে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫৩২-৫৩৯)

প্রকাশ থাকে যে, যারা ভাড়া গাড়ি চালায়, প্রত্যহ্‌ বাস, ট্রেন বা প্লেন চালায় তারাও মুসাফির। তাদের জন্যও নামায কসর করা বিধেয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ২২/১০৩)