নামাযীর সামনে বেয়ে কেউ পার হবে না এমন ধারণা থাকলেও সামনে সুতরাহ্‌ রেখে নামায পড়া ওয়াজেব। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ৮২পৃ:) যেমন সফরে, বাড়িতে, মসজিদে,হারামের মসজিদদ্বয়ে সর্বস্থানে একাকী ও ইমামের জন্য সুতরাহ্‌ ব্যবহার করা জরুরী।

মহানবী (ﷺ) বলেন, “সুতরাহ্‌ ছাড়া নামায পড়ো না।” (ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ ৮০০ নং)

“যে ব্যক্তি সক্ষম হয় যে, তার ও তার কিবলার মাঝে কেউ যেন না আসে, তাহলে সে যেন তা করে।” (আহমাদ, মুসনাদ, দারাক্বুত্বনী, সুনান, ত্বাবারানী, মু’জাম)

“যখন তোমাদের কেউ নামায পড়বে, তখন সে যেন সামনে সুতরাহ্‌ রেখে নামায পড়ে।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক, জামে ৬৫০, ৬৫১ নং)

পক্ষান্তরে আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর বিনা সুতরায় নামায পড়ার হাদীস যয়ীফ।।

সুতরাহ্‌ বলে কোন কিছুর আড়ালকে। নামাযী যখন নামায পড়ে তখন তার হৃদয় জোড়া থাকে সৃষ্টিকর্তা মা’বূদ আল্লাহর সাথে। বিচ্ছিন্ন থাকে পার্থিব সকল প্রকার কর্ম ও চিন্তা থেকে। ইবাদত করা অবস্থায় সে যেন মা’বূদ আল্লাহকে দেখতে পায়। কিন্তু তার সম্মুখে যখন এমন কোন ব্যক্তি বা পশু এসে উপস্থিত হয়, যে তার একাগ্রতা ও ধ্যান ভঙ্গ করে দেয়, মনোযোগ কেড়ে নেয়, দৃষ্টি চুরি করে ফেলে এবং কোন ভয় বা কামনা তার মনে জায়গা নিয়ে তাকে আল্লাহর দরবার হতে সরিয়ে পার্থিব জগতে ফিরিয়ে দেয়, তখন তার জন্য জরুরী এমন এক আড়াল ও অন্তরালের, যার ফলে সে নিজের দৃষ্টি ও মনকে তার ভিতরে সীমাবদ্ধ রাখতে পারে। আর তার পশ্চাতে কোন কিছু অতিক্রম করলেও সে তা ভ্রুক্ষেপ না করতে পারে।

সুতরাং সুতরাহ্‌ রেখে নামায না পড়া গুনাহর কাজ। পরন্তু ঐ অবস্থায় নামাযীর সম্মুখ বেয়ে কেউ পার হয়ে গেলে তার নামাযের সওয়াব কম হয়ে যায়। (ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার /৫৮৪)