স্মরণে রাখতে হবে যে, একজন মানুষ হেদায়েত হলেও রেসালাতের মহান উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে। কিয়ামতের দিন এমনও নবী উঠবেন যার সঙ্গে একজনও উম্মত থাকবে না। আবার কারো সাথে দুইজন, কারো সাথে তিনজন।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فَقَالَ: عُرِضَتْ عَلَيَّ الْأُمَمُ فَجَعَلَ يَمُرُّ النَّبِيُّ مَعَهُ الرَّجُلُ وَالنَّبِيُّ مَعَهُ الرَّجُلَانِ وَالنَّبِيُّ مَعَهُ الرَّهْطُ وَالنَّبِيُّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ. متفق عليه
ইবনে আব্বাস [রাঃ] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী একদিন আমাদের নিকট এসে বললেন: “আমার প্রতি পূর্বের উম্মতদেরকে পেশ করা হয়। দেখলাম এমন নবী অতিক্রম করছেন যাঁর সাথে একজন মাত্র মানুষ, এমন নবী যাঁর সাথে দুইজন মানুষ, এমন নবী যাঁর সাথে ছোট একটি দল ও এমনও নবী অতিক্রম করছেন যাঁর সাথে একজনও নেই।” [বুখারী ও মুসলিম]
নূহ (আঃ) দীর্ঘ সাড়ে নয়শত বছর দা'ওয়াত করে মাত্র ৮৩ জন দা'ওয়াত কবুল করেছিল। যার মধ্যে তাঁর স্ত্রী ও পুত্রও ছিল না।
১. আল্লাহর তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও শিরক উৎখাত করে দ্বীন কায়েম করা:
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ
“আমি প্রতিটি জাতির নিকট রসূল প্রেরণ করেছি (এ কথা বলার জন্য যে তোমরা একমাত্র আল্লাহর এবাদত করবে এবং তাগুত তথা শিরক থেকে বিরত থাকবে।" [সূরা নাহাল: ৩৬]
২. মানুষকে আল্লাহর সিরাতে মুস্তাকীম ও সঠিক দ্বীনের প্রতি আহ্বান করা:
يَا أَبَتِ إِنِّي قَدْ جَاءَنِي مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ يَأْتِكَ فَاتَّبِعْنِي أَهْدِكَ صِرَاطًا سَوِيًّا ٤٣
(ক) (ইবরাহীম বলল:) "হে আমার পিতা, আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে; যা আপনার কাছে আসেনি, সুতরাং আমার অনুসরণ করুন, আমি আপনাকে সরল পথ দেখাব।" [সূরা মারয়াম: ৪৩]
وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ ٥٢ صِرَاطِ اللَّهِ الَّذِي لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ أَلَا إِلَى اللَّهِ تَصِيرُ الْأُمُورُ ٥٣
(খ) "আর নিশ্চয়ই আপনি তাদেরকে সিরাতে মুস্তাকীমের হেদায়েত দান করেন। আল্লাহর পথ। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সবই তাঁরই। জেনে রাখ, আল্লাহ তা'য়ালার কাছেই সব বিষয় পৌঁছে।” [সূরা শূরা: ৫২-৫৩]
وَإِنَّكَ لَتَدْعُوهُمْ إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ ٧٣
(গ) “আর নিশ্চয়ই আপনি তাদেরকে সিরাতে মুস্তাকীমের দিকে দাওয়াত করেন।" [সূরা মুমিনূন: ৭৩]
৩. শিরক, কুফুর, অজ্ঞতা ও পাপের অন্ধকার থেকে বের করে তাওহীদ, ঈমান, জ্ঞান ও সত্যের আলোর দিকে আনা
يَهْدِي بِهِ اللَّهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلَامِ وَيُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِهِ وَيَهْدِيهِمْ إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ ١٦
(ক) এ (কুরআন) দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করবেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করবেন এবং সরল পথে পরিচালনা করবেন।” [সূরা মায়েদা: ১৬]
الر كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ ١
(খ) "আলিফ-লাম-র; এটি একটি গ্রন্থ, যা আমি আপনার প্রতি নাজিল করেছি- যাতে আপনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন-পরাক্রান্ত, প্রশংসার যোগ্য পালনকর্তার নির্দেশে তাঁইর পথের দিকে।" [সূরা ইবরাহীম : ১]
৪. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা:
এ জন্যে ঈমানদারগণ তাদের দা'ওয়াতের কাজের দ্বারা একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি হাসিল করাই তাদের লক্ষ্য থাকে যাতে করে তাঁরা দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا
(ক) “মুহম্মাদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন।" [সূরা ফাত্হ: ২৯]
لِلْفُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِن دِيَارِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا وَيَنصُرُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ ٨
(খ) “(এই ধন সম্পদ) দেশত্যাগী নিঃস্বদের জন্যে, যারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টিলাভের অন্বেষণে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাহায্যার্থে সম্পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। তারাই -নিজেদের বাস্তভিটা ও ধন সত্যবাদী।" [সূরা হাশর: ৮]
৫. মানুষকে আল্লাহর জাহান্নামের আগুন থেকে বের ও জান্নাতে প্রবেশ করানোর জন্য:
এ জন্য নবী ﷺ বলেছেন:
كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَأْبَى قَالَ مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى. رواه البخاري
(ক) “আমার উম্মতের প্রতিটি মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু অস্বীকারকারী ব্যতিরেকে, বলা হলো হে আল্লাহর রসূল অস্বীকারকারী কে? তিনি বললেন: যে আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর যে আমার নাফরমানি করবে সেই হলো অস্বীকারকারী।" [বুখারী]
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ غُلَامٌ يَهُودِيٌّ يَخْدُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ فَقَعَدَ عِندَ رَأْسِهِ فَقَالَ لَهُ: أَسْلِمْ. فَنَظَرَ إِلَى أَبِيهِ وَهُوَ عِندَهُ فَقَالَ لَهُ أَطِعْ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْقَذَهُ مِنَ النَّارِ. رواه البخاري
(খ) আনাস [রাঃ] থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একজন ইহুদির ছেলে নবী ﷺ এর খেদমত করত। সে অসুস্থ হলে নবী তাকে দেখতে যান। তিনি ﷺ ছেলেটির মাথার পার্শ্বে বসে বলেন “ইসলাম কবুল কর।” ছেলেটি তার নিকট উপস্থিত বাবার দিকে চাইল। অতঃপর বাবা ছেলেটিকে বলল, আবুল কাসেম ﷺ-এর কথা শুন। এরপর বালকটি ইসলাম কবুল করল। নবী ﷺ বের হয়ে বলেন: "সেই মহান আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি ওরে জাহান্নাম হতে বাঁচালেন।” [বুখারী]
৬. বিভিন্ন দ্বীনের জুলুম-অত্যাচার থেকে বের করে ইসলামের ইনসাফের দিকে এবং দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে বের করে দুনিয়া ও আখেরাতে প্রশস্ততার দিকে নিয়ে আসা:
সাহাবী রেবী' ইবনে আমের (রাঃ) দ্বীনের দা'ওয়াদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বীর রুস্তমের সামনে বলেন:
لِنُخْرِجَ مَنْ شَاءَ مِنْ عِبَادَةِ الْعِبَادِ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَمِنْ ضِيقِ الدُّنْيَا إِلَى سَعَتِهَا وَمِنْ جَوْرِ الْأَدْيَانِ إِلَى عَدْلِ الْإِسْلَامِ
মানুষকে মানুষের এবাদত করা থেকে এক আল্লাহর এবাদত ও দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে তার প্রশস্ততার দিকে এবং বিভিন্ন ধর্মের জুলুম-অত্যাচার থেকে ইসলামের ইনসাফের দিকে বের করে নিয়ে আনাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। (তারীখে ত্ববারী:৩/৩৪)
৭. শয়তানের আনুগত্য ও তার পদাঙ্কানুসরণ ও প্রবৃত্তির গোলামী থেকে বের করা:
১. আল্লাহ তায়ালার বাণী:
وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ ١٦٨
"তোমরা শয়তানের পদাঙ্কানুসরণ করো না; নিশ্চয় সে তোমাদের সুস্পষ্ট শত্রু।" [সুরা বাকারা : ১৬৮]
২. আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى ٤٠ فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى ٤١
“আর যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং নফসের গোলামী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত।" [সূরা নাজিআত:৪০-৪১]
৩. আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
فَلَا تَتَّبِعُوا الْهَوَى أَن تَعْدِلُوا
“অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে প্রবৃত্তির অনুসরণ কর না।”[সূরা নিসা: ১৩৫]
৮. অস্বীকারকারী ও কাফেরদের উপর হুজ্জত-দলিল ও প্রমাণ কায়েম করা:
رُّسُلًا مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا ١٦٥
(ক) “সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী রসূলগণকে প্রেরণ করেছি, যাতে রসূলগণের পরে আল্লাহর প্রতি মানুষের জন্য কোন ওজর করার অবকাশ না থাকে। আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।" [সূরা নিসা: ১৬৫]
إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ ٧ تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ
نَذِيرٌ ٨ قَالُوا بَلَى قَدْ جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ ٩ وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ ١٠ فَاعْتَرَفُوا بِذَنبِهِمْ فَسُحْقًا لِّأَصْحَابِ السَّعِيرِ ١١
(খ) "যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা জিজ্ঞাসা করবে। তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আগমন করেননি? তারা বলবে: হ্যাঁ, আমাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করেছিল, অতঃপর আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলাম। আল্লাহ কিছু নাজিল করেননি। তোমরা মহাবিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছে। তারা আরও বলবে: যদি আমরা শুনতাম ও বুঝার চেষ্টা করতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না।" [সূরা মূলক:৭-১১]
৯. একমাত্র নবী-রসুলদের হেদায়েত ও সত্যের অনুসরণ ও অনুকরণ করানো। আর শয়তান এবং বাপ-দাদা ও পীর- বুজুর্গদের তরীকা ত্যাগ করানো:
اتَّبِعُوا مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِن دُونِهِ أَوْلِيَاءَ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ ٣
(ক) “তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যান্য অলিদের অনুসরণ করো না। আর তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।"[সূরা আ'রাফ: ৩]
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوهُمْ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ ٢١
(খ) "তাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, তোমরা তারই অনুসরণ কর, তখন তারা বলে, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছি, তারই অনুসরণ করব। শয়তান যদি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির দিকে দাওয়াত দেয়, তবুও কি?" [সূরা লোকমান: ২১]
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِcُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ شَيْئًا وَلَا يَهْتَدُونَ ١٧٠
(গ) “আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহর নিকট হতে যা নাজিল হয়েছে তার অনুসরণ কর, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব, যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও।” [সূরা বাকারা: ১৭০]
ذَلِكَ بِأَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا اتَّبَعُوا الْبَاطِلَ وَأَنَّ الَّذِينَ آمَنُوا اتَّبَعُوا الْحَقَّ مِن رَّبِّهِمْ كَذَلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ لِلنَّاسِ أَمْثَالَهُمْ ٣
(ঘ) “এটা এ কারণে যে, যারা কাফের, তারা বাতিলের অনুসরণ করে এবং যারা মুমিন, তারা তাদের পালনকর্তার নিকট থেকে আগত সত্যের অনুসরণ করে। এমনিভাবে আল্লাহ মানুষের জন্যে তাদের দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।" [সূরা মুহাম্মাদ: ৩]
১০. সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ করা:
وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ١٠٤
"আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম।"[সূরা আল-ইমরান: ১০৪]