সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ ইসতিনজা আবূ মালিক কামাল বিন আস-সাইয়্যিদ সালিম ১ টি
যে সব বস্ত্ত দ্বারা ইসতিনজা করা বৈধ

নিম্নে উল্লেখিত দু’টি বস্ত্ত দ্বারা ইসতিনজা করা বৈধ। যথা:

১। পাথর এবং অনুরূপ জমাটবদ্ধ পদার্থ, যেগুলো দ্বারা নাপাক দূর করা যায় ও যা ব্যবহার হারাম নয়। যেমন: কাগজ, নেকড়া, শুকনো কাঠ এবং যা দ্বারা নাপাকমুক্ত করা যায় এমন বস্ত্ত।

আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) বলেন:

«إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ، فَلْيَذْهَبْ مَعَهُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ فَلْيَسْتَطِبْ بِهَا؛ فَإِنَّهَا تَجْزِي عَنْهُ»

তোমাদের কেউ যখন পায়খানায় গমন করে, তখন সে যেন তার সাথে তিনটি পাথর (কুলুখ) নিয়ে যায়, যা দ্বারা সে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট।[1]

বিশুদ্ধ মতে তিনটি পাথরের কমে ইসতিনজা করা বৈধ নয়:

عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ: لَقَدْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ لِغَائِطٍ، أَوْ بَوْلٍ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلَّ مِنْ ثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ بِعَظْمٍ

(ক) সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় নাবী কারীম (ﷺ) আমাদেরকে কিবলামুখী হয়ে পেশাব পায়খানা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন: আমরা যেন ডান হাত দিয়ে ইসতিনজা না করি, তিনটি পাথরের কমে যেন ইসতিনজা না করি এবং গোবর ও হাড্ডি দ্বারা যেন ইসতিনজা না করি।[2]

عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا اسْتَجْمَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَجْمِرْ ثَلَاثًا

(খ) জাবির ইব্নে আবদুল­াহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল­াহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা কেউ যখন ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করবে তখন, সে যেন তিনটি ঢিলা ব্যবহার করে।[3]

عن خلاد الجهني عن أبيه السائب أن النبي ﷺ قال إذا دخل أحدكم الخلاء فليتمسح بثلاثة أحجار

(গ) খিলাদ আল জাহনী তার পিতা সায়েব এর সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেন: যখন তোমাদের কেউ পায়খানায় প্রবেশ করবে ,তখন সে যেন তিনটি পাথর নেয়।[4]

আমার বক্তব্য: যদি তিনটি পাথর দ্বারা নাপাকমুক্ত হয় তাহলে ভাল কথা। আর না হলে তিনটির বেশি নেয়া ওয়াজিব হবে, যতক্ষণ না নাপাকমুক্ত হবে।

[1] শাওয়াহেদের কারণে হাসান; আবূ দাউদ হা/ ৪০; নাসাঈ ১/১৮; আহমাদ ৬/১০৮-১৩৩ সনদ যঈফ, তবে শাওয়াহেদ থাকার কারণে তা শক্তিশালী হয়েছে। দেখুন, ইরওয়া (৪৪)

[2] মুসলিম হা/ ২৬২; নাসাঈ ১/১২; তিরমিযী (১৬); আবূ দাউদ।

[3] সহীহ; আহমাদ, ইবনে আবী শায়বা, ইবনে খুযায়মা। হুয়ায়নী (অলস্নাহ তাঁকে হিফাযত করুন!) ‘বাযলুল ইহসান’ এর ১/৩৫১ পৃঃ তে বলেন, এর সনদ সহীহ।

[4] হাসান ; তবরানী কাবীর ৮/৬৬২৩, দেখুন, ‘বযল’ এর ১/৩৫২ পৃঃ ।