মূসা (আ) মৃত্যুর পূর্বে বনি-ইসরাইলের জন্য যে দুআ করেন তাতে বলেন: ‘‘মাবুদ সিনাই (Sinai) থেকে আসলেন, সেয়ীর (Seir) থেকে  তাদের প্রতি উদিত হলেন; পারণ পর্বত (mount Paran) থেকে তাঁর তেজ প্রকাশ করলেন, ওযুত ওযুত পবিত্র লোকদের কাছ থেকে আসলেন (মূল ইংরেজি: and he came with ten thousands of saints: এবং তিনি দশ হাজার সাধু পুরুষের সাথে আগমন করলেন); তাদের জন্য তাঁর ডান হাতে অগ্নিময় শরীয়ত (a fiery law) ছিল।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ৩৩/১-২, মো.-১৩)

মুসলিমরা দাবি করেন যে, এখানে ‘সীনয় হইতে আগমনের’ অর্থ মূসা (আ)-কে তাওরাত প্রদান করা এবং ‘সেয়ীর হইতে উদিত হওয়ার’ অর্থ যীশুকে ইনজীল প্রদান করা। আর পারণ পর্বত থেকে আপন তেজ প্রকাশ করার অর্থ মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর কুরআন অবতীর্ণ করা। কারণ ‘পারণ পর্বত’ মক্কার একটা পর্বত। আদিপস্তক ২১/২১ শ্লোকে ইসমাঈল (আ)-এর বিষয়ে বলা হয়েছে: ‘‘সে পারণ মরুপ্রান্তরে বাস করতে লাগল (in the wilderness of Paran)।’’

এখানে আরো লক্ষণীয় যে, দশ সহস্র পবিত্র ব্যক্তিসহ (with ten thousands of saints) আগমন এবং দক্ষিণ হস্তে অগ্নিময় শরীয়ত (from his right hand went a fiery law for them) মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মক্কা বিজয়ের সময় তিনি দশ সহস্র সাথী সহ মক্কায় আগমন করেন।