পরবর্তীতে আমরা দেখব যে, এ গণহত্যার জন্য মোশি আরেকটা কারণ উল্লেখ করেছেন: ‘‘পিয়োর পাহাড়ের ঘটনায় এরাই তো বালামের পরামর্শে বনি-ইসরাইলদের মাবুদের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল’’ (শুমারী ৩১/১৬)।

পাঠক যদি গণনাপুস্তক ২২, ২৩ ও ২৪ অধ্যায় পাঠ করেন তবে দেখবেন যে, বাউরের পুত্র বালাম ঈশ্বরের একজন পুরোহিত ও নবী ছিলেন। মোশির নেতৃত্বে প্রায় ত্রিশ লক্ষ বনি-ইসরাইল যখন বৃহত্তর ফিলিস্তিন-সিরিয়ার অনেকগুলো রাজ্য দখল করলেন এবং তথাকার বাসিন্দারে নির্মম গণহত্যার মাধ্যমে নির্মূল করলেন তখন মোয়াববাসীরা অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন। আগ্রাসী বনি-ইসরাইল বাহিনীর সামনে নিজেদের ‘সামরিক’ দুর্বলতা ও অসহায়ত্ব বুঝতে পেরে তারা ‘ঐশ্বরিক’ ভাবে ‘বদদোআ’র মাধ্যমে বনি-ইসরাইলদের হাত থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা শুরু করেন।

মোয়াবের রাজা বালাক নবী বালামকে বনি ইসলাইলদের বিরুদ্ধে বদদোআ করতে অনুরোধ করেন। বালাম বলেন, ঈশ্বর আমার মুখ দিয়ে যা বের করবেন তার বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না। ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে বালাম বারবার তাদের জন্য দোয়া করেন। এরপরও যদি বালামের কোনো অপরাধ থাকে তবে তিনিই শাস্তি পাবেন। তার বদদোয়া বা পরামর্শের জন্য কি পুরো একটা জনগোষ্ঠীর নারী, পুরুষ ও শিশু সুদ্ধ সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করতে হবে?