৯. ৪. ১৫. যুদ্ধের উদ্দেশ্য: দখল, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও ধর্মনির্মূল / ৯. ৪. ১৫. ১. হত্যা, ধর্মস্থান ধ্বংস, বিতাড়ন ও দখল

৯. ৪. ১৫. যুদ্ধের উদ্দেশ্য: দখল, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও ধর্মনির্মূল

বাইবেল নির্দেশিত যুদ্ধের উদ্দেশ্য অন্যান্য জাতির দেশ দখল করা, তাদেরকে অধীন বা বিতাড়িত করা, অথবা নির্বিচার গণহত্যার মাধ্যমে তাদের নির্মূল করা, তাদের স্ত্রী, সন্তান, পশু ও সম্পদ লূণ্ঠন করা, তাদের কুমারী মেয়েদের ধর্ষণ করা এবং তাদের ধর্মীয় স্থানগুলো ধ্বংস করা। এ বিষয়ে বাইবেলে অনেক নির্দেশনা বিদ্যমান:

৯. ৪. ১৫. ১. হত্যা, ধর্মস্থান ধ্বংস, বিতাড়ন ও দখল

বাইবেলের অন্যতম নির্দেশ, যুদ্ধের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রজাদের মহাসাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। যে ভূমিতেই বনি-ইসরাইল পা ফেলবেন সে ভূমিকেই ঈশ্বর তাদের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করবেন। বিশেষত গোটা মধ্যপ্রাচ্যের সকল মানুষ নির্মূল করে সেখানে ইসরাইলী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। নীল থেকে ফুরাত নদ, অর্থাৎ লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান থেকে ইরাক পর্যন্ত সম্পূর্ণ এলাকা থেকে এতদঞ্চলের মূল অধিবাসীদের হত্যা ও বিতাড়ন করে সেখানে ইসরাইলীয় বাইবেলীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। নতুন ও পুরাতন নিয়মের বিভিন্ন বক্তব্যের ভিত্তিতে খ্রিষ্টান ধর্মগুরুরা খ্রিষ্টানধর্ম ও খৃ্স্টীয় চার্চকে ‘নতুন ইসরাইল’ বলে বিশ্বাস ও দাবি করেন। এ বিশ্বাসের ভিত্তিতে যে কোনো দেশে বা ভূমিতে কোনো খ্রিষ্টান প্রচারক বা খ্রিষ্টান মানুষ পা রাখবেন সেটাকে দখল করাও বাইবেলের এ নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত। এরূপ একটা নির্দেশ নিম্নরূপ:

‘‘তোমরা যে সব জায়গায় পা ফেলবে (যেখানেই তোমাদের পা পড়বে: Every place that the sole of your foot shall tread upon) তা সবই আমি তোমাদের দেব। মূসার কাছে সেই ওয়াদাই আমি করেছিলাম। তোমাদের দেশ হবে মরুভূমি থেকে লেবানন পর্যন্ত এবং পূর্বে মহানদী ফোরাত ও পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত, অর্থাৎ হিট্টীয়দের গোটা এলাকাটা। (ইউসা ১/৩-৪)

বিভিন্ন দেশের মূল অধিবাসীদের বেদখল করে, তাদের জাতি ও ধর্ম নির্মূল করে তাদের দেশ দখল করাই বাইবেলীয় যুদ্ধের উদ্দেশ্য: ‘‘যে সব জাতিদের তোমরা বেদখল করতে যাচ্ছ তোমাদের মাবুদ আল্লাহ তোমাদের সামনে থেকে তাদের একেবারে ধ্বংস করে দেবেন। ... তাদের বেদখল করবার পর .. তোমরা তাদের দেশে বাস করবে...।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ১২/২৯-৩০)