৬.২.৭. মোশি ও হারোণের অবিশ্বাস ও প্রতিমাপূজার বর্ণনা / ৬. ২. ৭. ১. মূসা ও হারূন অজাচার-জাত সন্তান!

অতি নিকটবর্তী আত্মীয়দের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ককে INCEST অর্থাৎ অজাচার বা অগম্যাগমন বলা হয়। মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই তা ঘৃণা করে। পবিত্র বাইবেলে ফুফু বা পিতার বোনের সাথে বিবাহ অবৈধ ও হত্যাযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে (মো.-০৬): ‘‘ফুফুর সংগে সহবাস করা চলবে না; কারণ তার সংগে পিতার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে’’ (লেবীয় ১৮/১২)। ‘‘কেউ যেন খালা বা ফুফুর সংগে সহবাস না করে। এতে রক্তের সম্বন্ধ রয়েছে এমন একজন আত্মীয়াকে অসম্মান করা হয় এর জন্য তাদের দু’জনকেই দায়ী করা হবে’’ (লেবীয় ২০/১৯)।  লেবীয় পুস্তকের ২০ অধ্যায় থেকে আমরা জানি যে, এরূপ বিবাহ ব্যভিচার ও  হত্যাযোগ্য অপরাধ।

মোশির তৌরাতের তৃতীয় পুস্তকে এসকল বিধান বিদ্যমান। কিন্তু মোশির তৌরাতের দ্বিতীয় পুস্তকে বলা হয়েছে যে, স্বয়ং মোশিও এরূপ অবৈধ বিবাহ বা অজাচার (INCEST)-জাত সন্তান। মোশির পিতা তাঁর আপন ফুফুকে বিবাহ করেন: ‘‘ইমরানের ছেলেরা হল হারূন ও মূসা। ইমরান তাঁর পিতার বোন ইউখাবেজকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁর গর্ভে এঁদের জন্ম হয়েছিল।’’ (হিজরত/যাত্রাপুস্তক ৬/২০)

ইহুদি-খ্রিষ্টান বিশ্বাসে ঈশ্বরের বিধান রহিত হয় না। তৌরাতের বিধান লেখার পূর্বেও মানবজাতি এ বিধানেরই অধীন ছিল। তাহলে কি মোশি ও হারোণ অজাচারজাত অবৈধ সন্তান ছিলেন? ইহুদি-খ্রিষ্টান বিশ্বাস অনুসারে প্রচলিত তৌরাত মোশিরই লেখা। মোশি কি নিজের লেখা বইয়ে নিজের পিতামাতার অজাচার প্রকাশ করে তাদেরকে চিরস্থায়ীভাবে অপমানিত করলেন এবং নিজেদেরকে অবৈধ সন্তান বলে প্রমাণ করলেন?