বাইবেলে ঈশ্বরকে কুম্ভকার বা কুমার, ক্ষৌরকার, কীট, সিংহ, চিতা, ভল্লুক ইত্যাদি বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেমন:

  • ‘‘কিন্তু এখন, হে মাবুদ, তুমি আমাদের পিতা; আমরা মাটি, আর তুমি আমাদের কুমার; আমরা সকলে তোমার হাতের কাজ।’’ (যিশাইয় ৬৪/৮)
  • ‘‘সেদিন প্রভু ফোরাত নদীর পাড়স্থ ভাড়াটিয়া ক্ষুর দ্বারা, আসেরিয়ার বাদশাহর দ্বারা, মাথা ও পায়ের লোম ক্ষৌরি করে দেবেন এবং তা দিয়ে দাড়িও ফেলবেন।’’ (যিশাইয় ৭/২০)
  • ‘‘এজন্য আমি আফরাহীমের পক্ষে কীটস্বরূপ, এহুদা-কুলের পক্ষে ক্ষয়স্বরূপ হয়েছি।’’ (হোশেয় ৫/১২)
  • ‘‘এজন্য আমি তাদের পক্ষে সিংহের মত হলাম, চিতাবাঘের মত আমি পথের পাশে অপেক্ষায় থাকব।’’ ( হোশেয় ১৩/৭)
  • ‘‘তিনি আমার পক্ষে লুকিয়ে থাকা ভল্লুক বা অন্তরালে গুপ্ত সিংহস্বরূপ। (বিলাপ ৩/১০)
  • ‘‘ঈশ্বরের নিশ্বাস হইতে নীহার জন্মে, এবং বিস্তারিত জল সঙ্কুচিত হইয়া পড়ে’’ (কি. মো.-২০০৬: আল্লাহর নিঃশ্বাস থেকে বরফ জন্মায় আর পানি জমে যায়।) (ইয়োব ৩৭/১০)

এরূপ ব্যবহার রূপক হলেও তা ঈশ্বরের ক্ষেত্রে অশোভন ও অশালীন। এই বাক্যগুলো ঈশ্বরের বা পবিত্র আত্মার প্রেরণায় বলা।  ঈশ্বর কি এর চেয়ে সুন্দর, শালীন ও যৌক্তিক কোনো ভাষা, শব্দ, তুলনা বা রূপক জানতেন না?