পবিত্র বাইবেল পরিচিতি ও পর্যালোচনা পঞ্চম অধ্যায় - বিকৃতি ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
৫. ৫. ৪. পবিত্র পুস্তকে সংযোজন বা বিয়োজন

পবিত্র বাইবেলই পবিত্র বাইবেলের মধ্যে  সামান্যতম সংযোজন বা বিয়োজন করতে নিষেধ করেছে এবং এর ভয়ঙ্কর পরিণতি বিষয়ে সতর্ক করেছে। মোশির জবানিতে বাইবেল বলছে: ‘‘আমি তোমাদের যে হুকুম দিচ্ছি তার সংগে কিছু যোগ কোরো না এবং তা থেকে বিছু বাদও দিয়ো না। তোমাদের মাবুদ আল্লাহর যে সব হুকুম আমি তোমাদের দিচ্ছি তা তোমরা মেনে চলবে।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ৪/২, কি. মো.-০৬)

যীশুর জবানিতে বাইবেল বলছে: ‘‘যে লোক এই কিতাবের সমস্ত কথা, অর্থাৎ আল্লাহর কালাম শোনে আমি তার কাছে এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, কেউ যদি এর সংগে কিছু যোগ করে তবে আল্লাহও এই কিতাবের লেখা সমস্ত গজব তার জীবনে যোগ করবেন। আর এই কিতাবের সমস্ত কথা, অর্থাৎ আল্লাহর কালাম থেকে যদি কেউ কিছু বাদ দেয় তবে আল্লাহও এই কিতাবে লেখা জীবন-গাছ ও পবিত্র শহরের অধিকার তার জীবন থেকে বাদ দেবেন।’’ (প্রকাশিত বাক্য/ কালাম ২২/১৮-১৯: কি. মো.-০৬)

আমরা দেখেছি যে, উপরের চার প্রকারের বাইবেলীয় পরিবর্তনই সংযোজন অথবা বিয়োজন। কেউ পবিত্র পুস্তকের মধ্যে কিছু পুস্তক, অধ্যায়, শ্লোক, বাক্য বা শব্দ সংযোজন করেছেন অথবা বিয়োজন করেছেন। প্রশ্ন হল, কাকে আমরা বাইবেল নির্দেশিত এ ভয়ঙ্কর শাস্তির অধীন বলে বিশ্বাস করব? প্রটেস্ট্যান্ট, ক্যাথলিক, অর্থোডক্স, কিং জেমস ভার্শন, রিভাইডয ভার্শন, কেরির অনুবাদ, জুবিলী বাইবেল, কিতাবুল মোকাদ্দস: কোন বাইবেল, ভার্শন বা অনুবাদের লেখক, অনুবাদক বা প্রকাশককে আমরা সংযোজন বা বিয়োজনের অভিযোগে অভিযুক্ত করব? পাক- কিতাবের সকল গজব কার প্রাপ্য হয়েছে? অথবা পাক-কিতাবে লেখা জীবন গাছ ও পবিত্র শহরের অধিকার থেকে কে বঞ্চিত হয়েছেন?