২. ১২. ৭. ইঞ্জিল লেখকরা ঐশ্বরিক প্রেরণার দাবি করেননি

নতুন ও পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলো অধ্যয়ন করলে পাঠক নিশ্চিত হবেন যে, নতুন নিয়মের শেষ পুস্তকটা ছাড়া অবশিষ্ট পুস্তকগুলো ঐশ্বরিক প্রেরণা বা পবিত্র আত্মার প্রেরণায় লেখা নয়। পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলোর মধ্যে প্রায়ই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঈশ্বর বা সদাপ্রভুর নির্দেশে ভাববাদী কথাটা বললেন বা লেখলেন। নতুন নিয়মের সর্বশেষ পুস্তক ‘প্রকাশিত বাক্যের’ শুরুতেই বলা হয়েছে যে, পুস্তকটা যীশুর প্রেরণায় রচিত। কিন্তু নতুন নিয়মের অন্য কোনো পুস্তকের লেখক এরূপ দাবি করেননি। বরং তাদের লেখা থেকে সুস্পষ্ট যে, তারা মানবীয় বিবেচনায় যীশুর জীবনী ও উপদেশ পুস্তক হিসেবে গ্রন্থগুলো রচনা করেছেন।