২.৮.৩.আলেকজান্দ্রীয় পাণ্ডুলিপি (Codex Alexandrinus)

এ পাণ্ডুলিপিকে খ্রিষ্টান পণ্ডিতরা গ্রিক বাইবেলের প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপিগুলোর অন্যতম বলে মনে করেন। এর রচনাকাল নিয়ে ব্যাপক মতভেদ বিদ্যমান। তবে অনেকেই দাবি করেন যে, এটা ৫ম খ্রিষ্টীয় শতকে লেখা হয়েছে। পাণ্ডুলিপির বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন সময়ে লেখা। এছাড়া পরবর্তীকালে পাণ্ডুলিপিটা অনেকবার সম্পাদনা করা হয়েছে। পাণ্ডুলিপিটার কিছু পৃষ্ঠা হারিয়ে গিয়েছে। চার খণ্ড-র এ পাণ্ডুলিপির তিন খণ্ড- গ্রিক সেপ্টুআজিন্ট বা পুরাতন নিয়ম এবং চতুর্থ খণ্ড- নতুন নিয়ম বিদ্যমান। পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলোর মধ্যে প্রটেস্ট্যান্টগণ কর্তৃক বাতিলকৃত ৭টা এপক্রিপা (apocrypha/ deuterocanonical) পুস্তক ছাড়াও অতিরিক্ত ৪টা পুস্তক বিদ্যমান: (১) ম্যাকাবীয় ৩য় পুস্তক, (Maccabees 3), (২) ম্যাকাবীয় ৪র্থ পুস্তক, (Maccabees 4) (৩) গীতসংহিতা ১৫১ (psalms 151) এবং (৪) ১৪ ওডস (14 Odes)। এ ছাড়া আরো দুটো পুস্তক পুরাতন নিয়মের মধ্যে বিদ্যমান। মারসেলিনাসের প্রতি পত্র (Epistle to Marcellinus)। পুস্তকটা ৩৭৩ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণকারী সেন্ট এথানাসিয়াস (Saint Athanasius)-এর লেখা বলে মনে করা হয়। এ পুস্তকটা গীতসংহিতার পূর্বে বিদ্যমান। গীতসংহিতার একটা সারাংশ (summary of the Psalms) গীতসংহিতার পূর্বে বিদ্যমান। পুস্তকটা ইউসিবিয়াসের রচিত বলে মনে করা হয়। সূচিপত্র থেকে প্রতীয়মান হয় যে শলোমনের গীতসংহিতা এবং আরো কয়েকটা জাল বা সন্দেহজনক পুস্তক এ পাণ্ডুলিপির মধ্যে ছিল, কিন্তু পাণ্ডুলিপির এ সকল পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং হারিয়ে গিয়েছে।

নতুন নিয়মের মধ্যে ক্লিমেন্টের প্রথম পত্র এবং ক্লিমেন্টের দ্বিতীয় পত্র পুস্তক দুটো বিদ্যমান। এছাড়া ছিড়ে ফেলা পৃষ্ঠাগুলোর মধ্যে ক্লিমেন্টের তৃতীয় পত্রটা ছিল বলে প্রতীয়মান। বাইবেলীয় পুস্তকগুলোর ক্রম বিন্যাস প্রচলিত বিন্যাস ও অন্যান্য পাণ্ডুলিপির বিন্যাস থেকে ভিন্ন।[1]

[1] উইকিপিডিয়া: Codex Alexandrinus