২. ২. প্রামাণ্যতার ভিত্তি: পাণ্ডুলিপি ও লেখক

সাধারণভাবে প্রাচীন কোনো পুস্তকের প্রামাণ্যতা (Authoritativeness/ authenticity) নিশ্চিত করতে প্রাচীন পাণ্ডুলিপির উপর নির্ভর করা হয়। প্রথমেই দেখা হয়, যার নামে গ্রন্থটা প্রচারিত তিনি আদৌ গ্রন্থটা লেখেছেন কিনা? গ্রন্থের কোথাও গ্রন্থকারের নাম বা পরিচয় লেখা আছে কিনা? এবং তার স্বহস্তে লেখা কোনো পাণ্ডুলিপি পাওয়া যাচ্ছে কিনা। না হলে পরবর্তী কোনো অনুলিপিকার যদি উল্লেখ করেন যে, তিনি লেখকের স্বহস্তে লেখা পাণ্ডুলিপি থেকে গ্রন্থটা অনুলিপি করেছেন তবে তা সঠিক বলেই গণ্য করা হয়। যদি একাধিক পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় এবং পাণ্ডুলিপিগুলোর মধ্যে পার্থক্য না থাকে তবে তা গ্রন্থটার প্রামাণ্যতা নিশ্চিত করে। 

যদি লেখকের লেখা বা তা থেকে অনুলিপি করা কোনো পাণ্ডুলিপি না পাওয়া যায় তবে প্রাচীনতম অনুলিপি অনুসন্ধান করা হয়। প্রাচীন পাণ্ডুলিপি পাওয়া না গেলে গবেষকরা সাধারণত গ্রন্থটার প্রামাণ্যতায় সন্দেহ পোষণ করেন এবং অভ্যন্তরীণ ও পারিপার্শ্বিক প্রমাণাদির ভিত্তিতে গ্রন্থটার লেখক, সময়কাল ইত্যাদি নির্ধারণের চেষ্টা করেন। আমরা এ অধ্যায়ে আধুনিক গবেষণার আলোকে বাইবেলের পাণ্ডুলিপি এবং বাইবেলের লেখকদের পরিচয় আলোচনা করব।