কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আকীদা বিষয়ক আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। আলোচ্য বিষয়গুলি পাঠককে কতটুকু বুঝাতে পেরেছি তা জানি না। নিজের দুর্বলতার কারণেই মনে হয়, মূল কথাটি হয়ত বুঝাতে পারলাম না। এজন্য পুরাতন কথাটি শেষবারের মত পাঠককে বলতে চাই। মুমিন জীবনের সকল বিষয়ের ন্যায় বিশ্বাস বা আকীদার বিষয়েও সুন্নাতের হুবহু অনুসরণই নাজাতের একমাত্র পথ। মুমিন নিজের ঈমানকে কুরআন ও সুন্নাতের আলোকে বিশুদ্ধতম রাখতে সদা সচেষ্ট থাকবেন, কারণ তাঁর সফলতা ও নাজাতের এটিই একমাত্র ভিত্তি। শির্ক, কুফর, নিফাক, বিদ্‘আত ও বিভক্তির প্রতি হৃদয়ের মধ্যে প্রগাঢ় ঘৃণা ও আপত্তি বিদ্যমান থাকা অত্যাবশ্যক, তবে এগুলিতে লিপ্ত ঈমানের দাবিদারদের কুফরী নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মুমিন বলে গ্রহণ করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উম্মাতের মধ্যকার বিভ্রান্তদের জন্য আমাদের দায়িত্ব দ‘আ ও নসীহত; হিংসা ও গালি নয়। হিংসার ওজুহাত না খুঁজে ভালবাসার ওজুহাত খুঁজুন, যার মধ্যে যতটুকু ঈমান, ইসলাম ও সুন্নাত আছে ততটুকুকেই ভালবাসার ওজুহাত বানিয়ে তাঁকে ভালবাসুন এবং তার হেদায়াতের জন্য দু‘আ করুন। মহান আল্লাহ আমাদেরকে আকীদা ও আমলে পরিপূর্ণভাবে সুন্নাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার এবং জামা‘আত বা ঐক্যের পথে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন!

আমার মত একজন নগণ্য মানুষকে মহান আল্লাহ আকীদার বিষয়ে কিছু লেখার তাওফীক দিয়েছেন বলে তাঁর মহান দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এর মধ্যে যা কিছু ভাল ও কল্যাণকর বিষয় রয়েছে তা সবই একমাত্র আল্লাহর রহমত ও তাওফীকের কারণে। আর যা কিছু ভুলভ্রান্তি রয়েছে সবই আমার অযোগ্যতা ও শয়তানের কারণে। আমি আল্লাহর দরবারে সকল ভুল ও অন্যায় থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তাঁর মহান দরবারে দু‘আ করি, তিনি দয়া করে এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা কবুল করে একে আমার, আমার পিতামাতা, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, প্রিয়জন এবং পাঠক-পাঠিকাদের নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দিন। আমিন! আল্লাহর মহান রাসূলের জন্য এবং তাঁর সাহাবী ও পরিজনদের জন্য সালাত ও সালাম। প্রথমে ও শেষে সর্বদা ও সর্বত্র সকল প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর নিমিত্ত।