৫. ২. ৩. ২. ৫. অশুভ, অযাত্রা বা অমঙ্গলে বিশ্বাস করা

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:

الطِّيَرَةُ شِرْكٌ الطِّيَرَةُ شِرْكٌ الطِّيَرَةُ شِرْكٌ

‘‘অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস করা বা নির্ণয়ের চেষ্টা করা শির্ক, অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস করা বা নির্ণয়ের চেষ্টা করা শির্ক, অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস করা বা নির্ণয়ের চেষ্টা করা শির্ক।[1]

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

مَنْ رَدَّتْهُ الطِّيَرَةُ مِنْ حَاجَةٍ فَقَدْ أَشْرَكَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَفَّارَةُ ذَلِكَ قَالَ أَنْ يَقُولَ أَحَدُهُمْ اللَّهُمَّ لا خَيْرَ إِلا خَيْرُكَ وَلا طَيْرَ إِلا طَيْرُكَ وَلا إِلَهَ غَيْرُكَ

‘‘অশুভ, অযাত্রা বা অমঙ্গল ভেবে যে তার কর্ম বা যাত্রা পরিত্যাগ করল সে শিরক করল। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, এর কাফ্ফারা কী? তিনি বলেন, একথা বলবে যে, হে আল্লাহ, আপনার কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই, আপনার শুভাশুভত্ব ছাড়া কোনো শুভ বা অশুভ নেই এবং আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।’’[2]

ইমরান ইবনুল হুসাইয়িন (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَطَيَّرَ أَوْ تُطُيِّرَ لَهُ أَوْ تَكَهَّنَ أَوْ تُكُهِّنَ لَهُ أَوْ سَحَرَ أَوْ سُحِرَ لَهُ وَمَنْ عَقَدَ عُقْدَةً، وَمَنْ أَتَى كَاهِناً فَصَدَّقَهُ بِمَا قَال فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّد(ﷺ).

‘‘আমাদের দলভুক্ত নয় (আমার উম্মাত নয়) যে ব্যক্তি শুভাশুভ নির্ণয় করে অথবা যে ব্যক্তির জন্য শুভাশুভ নির্ণয় করা হয়, অথবা যে ব্যক্তি ভাগ্য বা গাইবী কথা বলে বা অথবা যার জন্য ভাগ্য নির্ণয় করা হয়, অথবা যে ব্যক্তি যাদু করে বা যার জন্য যাদু করা হয়, এবং যে ব্যক্তি কোনো (সুতা-তাগা ইত্যাদিতে) গিট দেয়। আর যদি কেউ কোনো গণক-জ্যোতিষী বা অনুরূপ ভাগ্য বা ভবিষ্যদ্বক্তার নিকট গমন করে এবং তার কথা বিশ্বাস করে তবে সে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর অবর্তীণ দ্বীনের সাথে কুফরী করল।’’[3]

এ বিষয়ে আরো অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

যদি কেউ বিশ্বাস করেন যে, অমুক দিবস, রাত্রি, মাস, তিথি, সময়, বস্ত্ত, দ্রব্য বা ব্যক্তির মধ্যে শুভ বা অশুভ কোনো প্রভাবের ক্ষমতা বা এরূপ প্রভাব কাটানোর ক্ষমতা আছে তবে তা শিরক্ আকবার বলে গণ্য হবে। আর যদি এরূপ বিশ্বাস পোষণ না করেন, বরং সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, ভাল, মন্দ, শুভ, অশুভ সকল কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ, কিন্তু কথাচ্ছলে এরূপ কিছু বলে ফেলেন তবে তা শিরক আসগার বলে গণ্য হবে।

[1] তিরমিযী, আস-সুনান ৪/১৬০; ইবনু হিববান, আস-সহীহ ১৩/৪৯১; হাকিম, আল-মুসতাদরাক ১/৬৪; আবূ দাঊদ, আস-সুনান ৪/১৭; ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ২/১১৭০। তিরমিযী, ইবনু হিববান, হাকিম প্রমুখ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[2] আহমদ, আল-মুসনাদ ২/২২০; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/১০৫; আলবানী, সিলসিলাতুস সাহীহাহ ৩/১৩৯, নং ১০৬৫। হাদীসটির সনদ সহীহ।
[3] হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/১১৭। হাদীসটি সহীহ।