কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা চতুর্থ অধ্যায়: আরকানুল ঈমান ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
৪. ২. ৮. মালাকগণের কর্ম ও দায়িত্ব সম্পর্কে বিশ্বাস

৪. ২. ৮. ১. আল্লাহর সার্বক্ষণিক ইবাদত ও তাসবীহ

মালাইকা বা ফিরিশতাগণ মানবীয় দূর্বলতা, ক্লান্তি, কামনা বাসনা বা পাপেচ্ছা থেকে মুক্ত। তাঁরা সর্বদা ক্লান্তিহীনভাবে আল্লাহর গুণগান করেন এবং তাঁর নিদের্শ পালন করেন। ইতোপূর্বে একটি আয়াতে আমরা দেখেছি যে, মালাকগনের বিষয়ে আল্লাহ বলেছেন: ‘‘তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা। তারা আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে।’’ অন্যত্র আল্লাহ তাঁদের বিষয়ে বলেন:

لا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ

‘‘আল্লাহ তাঁদেরকে যে নির্দেশ দেন তা তাঁরা লঙ্ঘন করে না এবং তাঁদেরকে যে নির্দেশ দেওয়া হয় তা তাঁরা পালন করে।’’[1]

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:

وَلَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ عِنْدَهُ لا يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِهِ وَلا يَسْتَحْسِرُونَ يُسَبِّحُونَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لا يَفْتُرُونَ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা তাঁরই (আল্লাহরই)। আর তাঁর সান্নিধ্যে যারা আছে তারা অহঙ্কারবশে তাঁর ইবাদত করা হতে বিমুখ হয় না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না। তারা দিবা-রাত্র তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারা শৈথিল্য করে না।’’[2]

অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন:

إِنَّ الَّذِينَ عِنْدَ رَبِّكَ لا يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِهِ وَيُسَبِّحُونَهُ وَلَهُ يَسْجُدُونَ

‘‘যারা তোমার প্রতিপালকের সান্নিধ্যে রয়েছে তারা অহংকারে তাঁর ইবাদতে বিমুখ হয় না, তাঁরই মহিমা ঘোষণা করে এবং তাঁরই নিকট সাজদাবনত হয়।’’[3]

৪. ২. ৮. ২. কর্মনির্বাহ ও কর্মবণ্টন

সাধারণভাবে আল্লাহর ইবাদত, তাসবীহ ও তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনা করা ছাড়াও মালাকগণ আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁদেরকে প্রদত্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। মহান আল্লাহ বিশ্ব পরিচালনায় তাঁর নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য তাঁদেরকে দায়িত্ব দেন। মহান আল্লাহ বলেন:

وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا

‘‘শপথ তাদের যারা নির্মমভাবে উৎপাটন করে। এবং যারা মৃদুভাবে বন্ধনমুক্ত করে দেয়। এবং যারা তীব্র গতিতে সন্তরণ করে। আর যারা দ্রুতবেগে অগ্রসর হয়। অতঃপর যারা কর্ম নির্বাহ করে।’’[4]

মুফাস্সিরগণ উল্লেখ করেছেন যে, এখানে মালাকগণকেই বুঝানো হয়েছে। তাঁদের কেউ কাফিরদের প্রাণ নির্মমভাবে উৎপাটন করেন, কেউ মুমিনের প্রাণ মৃদুভাবে বন্ধনমুক্ত করেন, কেউ আল্লাহর নির্দেশাবলি নিয়ে মহাবিশ্বে সন্তরণ, চলাচল বা যাতায়াত করেন এবং কেউ আল্লাহর নির্দেশিত কর্মসমূহ নির্বাহ করেন। অন্যত্র আল্লাহ বলেন:

فَالْمُقَسِّمَاتِ أَمْرًا

‘‘শপথ কর্মবণ্টনকারীগণের (কর্মবণ্টনকারী মালাকগণের)।’’[5]

এভাবে আমরা সাধারণভাবে ফিরিশতাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে পারি। এছাড়া কুরআন ও হাদীসের বর্ণনা থেকে আমরা তাঁদের  বিভিন্ন বিশেষ দায়িত্ব ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। তাঁদের এ সকল দায়িত্ব ও কর্মের মধ্যে রয়েছে:

৪. ২. ৮. ৩. ওহী পৌঁছানো

মালাকগণের একটি মৌলিক দয়িত্ব নবী রাসূলগণের নিকট আল্লাহর ওহী পৌঁছান। জিবরাঈল (আঃ)-এর নাম ও পরিচয় বিষয়ক আলোচনায় আমরা এ বিষয়ে আমরা কয়েকটি আয়াত দেখেছি।[6]

৪. ২. ৮. ৪. মানুষের রক্ষণাবেক্ষণ

মালাকগণের অন্য একটি দায়িত্ব আল্লাহর হুকুমে তাঁরই মর্জিমত মানুষের রক্ষণাবেক্ষণ করা। মহান আল্লাহ বলেন:

لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ

‘‘মানুষের জন্য তার সামনে ও তার পিছনে একের পর এক প্রহরী থাকে, তারা আল্লাহর আদেশে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে।’’[7]

৪. ২. ৮. ৫. মানুষকে কল্যাণ-কর্মে উৎসাহ প্রদান

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:

إِنَّ لِلشَّيْطَانِ لَمَّةً بِابْنِ آدَمَ وَلِلْمَلَكِ لَمَّةً فَأَمَّا لَمَّةُ الشَّيْطَانِ فَإِيعَادٌ بِالشَّرِّ وَتَكْذِيبٌ بِالْحَقِّ وَأَمَّا لَمَّةُ الْمَلَكِ فَإِيعَادٌ بِالْخَيْرِ وَتَصْدِيقٌ بِالْحَقِّ ... ثُمَّ قَرَأَ: (الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمْ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاءِ) الآية

‘‘শয়তান মানুষের মনে প্রেরণা জাগায়, আবার মালাকও (ফিরিশাতও) মানুষের মনে প্রেরণা জাগায়। শয়তানের প্রেরণা অশুভ ও অকল্যানের ওয়াদা করা এবং সত্যকে অস্বীকার করার প্রেরণা। মালাকের প্রেরণা হলো কল্যাণের ও মঙ্গলের ওয়াদা করা এবং সত্যকে মেনে নেয়া। ... এরপর তিনি কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি[8] পাঠ করেন: ‘‘শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং অশ্ললতা-কার্পণ্যের নির্দেশ দেয়। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’’[9]

৪. ২. ৮. ৬. মুমিনদের জন্য দু‘আ করা

মালাকগণের একটি বিশেষ কর্ম বিশ্বাসীদের কল্যাণের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ ও দু‘আ করা। মহান আল্লাহ বলেন:

الَّذِينَ يَحْمِلُونَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَهُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِلَّذِينَ آَمَنُوا رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ. رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آَبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ وَمَنْ تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

‘‘যারা আর্শ ধারণ করে আছে এবং যারা তার চতুর্পাশ্ব ঘিরে আছে তারা তাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী, অতএব যারা তওবা করে এবং তোমার পথ অবলম্বন করে তুমি তাদের ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর। হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি তাদেরকে দাখিল কর স্থায়ী জান্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ, এবং তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নি ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও। তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’’[10]

বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, দান, অনুপস্থিত মানুষদের জন্য দু‘আ ও অন্যান্য সৎকর্মে লিপ্ত মুমিনদের জন্য ফিরিশতাগণ  দু‘আ করেন।

৪. ২. ৮. ৭. মানুষের কর্ম লিপিবদ্ধ করা

কুরআন কারীমের অনেক আয়াত ও বিভিন্ন হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, আল্লাহ প্রতিটি মানুষের সাথে মালাক নিয়োগ করেছেন তার সৎ-অসৎ সকল কর্ম লিপিবদ্ধ করার  জন্য। কুরআন কারীমে তাঁদেরকে ’’কিরামান কাতিবীন’’ বা সম্মানিত লেখকগণ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন:

إِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ

‘‘দুই গ্রহণকারী (ফিরিশতা) তার ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ। মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে।’’[11]

অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন:

وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ كِرَامًا كَاتِبِينَ يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ

‘‘অবশ্যই আছে তোমাদের জন্য তত্ত্বাবধায়কগণ; সম্মানিত লিপিকারবৃন্দ। তারা জানে তোমরা যা কর।’’[12]

৪. ২. ৮. ৮. মৃত্যুর সময় আত্মাগ্রহণ

কুরআন- হাদীস থেকে আমরা জানি যে, মৃত্যুর সময় মানুষের আত্মা গ্রহণ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একদল মালাককে। আল্লাহ বলেন:

حَتَّى إِذَا جَاءَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا وَهُمْ لا يُفَرِّطُونَ

‘‘অবশেষে যখন তোমাদের কারো মৃত্যুকাল উপস্থিত হয় তখন আমার প্রেরিত দূতগণ তার মৃত্যু ঘটায় এবং তারা কোনো ত্রুটি করে না।’’[13]

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন:

قُلْ يَتَوَفَّاكُمْ مَلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ

‘‘আপনি বলুন, তোমাদের জন্য নিযুক্ত ‘মালাকুল মাওত’ (মৃত্যুর মালাক) তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অবশেষে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যানীত হবে।’’[14]

কুরআনে বা নির্ভরযোগ্য হাদীসে ‘মালাকুল মাউতের’ নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে কোনো কোনো মুফাস্সির তাঁর নাম আযরাঈল বলে উল্লেখ করেছেন। পরবর্তী যামানার মুসলিমদের মধ্যে এই নামই প্রসিদ্ধ।[15]

৪. ২. ৮. ৯. আরশ বহন করা

মালাইকা বা ফিরিশতাগণের একটি বিশেষ কর্ম মহান আর্শ বহন করা। এ বিষয়ে কুরআনের একটি আয়াত আমরা ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি। মহান আল্লাহ বলেছেন: ‘‘যারা আর্শ ধারণ করে আছে এবং যারা তার চতুর্পাশ্ব ঘিরে আছে তারা তাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে...।’’ অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন:

وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ

‘‘এবং সেইদিন আটজন (মালাক) তাদের প্রতিপালকের আর্শকে ধারণ করবে তাদের ঊর্ধ্বে।’’[16]

৪. ২. ৮. ১০. অন্যান্য কর্ম

এছাড়া কুরআন ও হাদীস থেকে আমরা জানি যে, আল্লাহ  বিভিন্ন সৃষ্টির পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বিভিন্ন শ্রেণীর মালাককে দায়িত্ব দিয়েছেন। চাঁদ-সূর্যের  জন্য, পাহাড়-পর্বতের জন্য, আকাশের বিভিন্ন স্থানের জন্য, মেঘের জন্য, বৃষ্টির জন্য, মাতৃগর্ভের ভ্রুনের জন্য, জাহান্নামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য, পাপীদের শাস্তিদানের জন্য, জান্নাতবাসী মুমিনদের খেদমত ও শান্তিদানের জন্য বিভিন্ন মালাককে দয়িত্ব প্রদান করেছেন আল্লাহ।

মুসলিমদের জিকিরের মাজলিস, আলোচনার মজলিস, ইলমের মাজলিস, সালাতের জামাত ইত্যাদি সৎকর্মে উপস্থিত থাকেন কিছু মালাক, বিশ্বের সকল প্রান্ত থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য প্রেরিত সালাত ও সালাম তাঁর রওযা মুবারকে পৌঁছে দেন কিছু মালাক, মৃত্যুর পরে বা কবরে  মৃত ব্যক্তিকে প্রশ্ন করার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মুনকার নাকির নামক মালাক। ‘মালিক’ (আঃ)-কে দিয়েছেন জাহান্নামের তত্বাবধানের দায়িত্বে। ইস্রাফিল (আঃ)-কে দিয়েছেন কিয়ামতের সিংগায় ফুৎকার দানের দায়িত্ব। মিকাঈল ফিরিশতা বৃষ্টিপাত ও ফল-ফসলের দায়িত্বে্ নিয়োজিত। এভাবে বিভিন্ন হাদীস থেকে বিশ্বজগতের বিভিন্ন সৃষ্টির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন ফিরিশতাদের কথা আমরা জানতে পারি যারা বিশ্বজগত পরিচালনায় আল্লাহর ইচ্ছা ও নির্দেশের বাস্তবায়ন করেন। তাই মুসলিমরা বিশ্বাস করেন যে, চাঁদ, সূর্য, মেঘ, বৃষ্টি ইত্যাদি আল্লাহর সকল সৃষ্টি যেমন তাঁরই সৃষ্ট প্রাকৃতিক নিয়মের অধীন, তেমনি এসকল সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর নিয়ম ও নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য রয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মালাকগণ। সকল সৃষ্টি তাঁরই নিয়ন্ত্রনে, সকল প্রাকৃতিক নিয়ম তাঁরই সৃষ্টি, ফিরিশতাগণ তাঁরই দাস। সবকিছু তাঁর ইচ্ছা ও নির্দেশের অধীনে। একমাত্র তাঁর ইচ্ছাই চূড়ান্ত, তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।[17]

[1] সূরা (৬৬) তাহরীম: ৬ আয়াত।
[2] সূরা (২১) আম্বিয়া: ২০ আয়াত।
[3] সূরা (৭) ২০৬ আয়াত।
[4] সূরা (৭৯) নাযি‘আত: ১-৫ আয়াত।
[5] সূরা (৫১) যারিয়াত: ৪ আয়াত।
[6] আরো দেখুন: সূরা বাকারা ৯৭, ৯৮ আয়াত; সূরা তাহরীম ৪ আয়াত; সূরা শুআরা: ১৯২-১৯৪ আয়াত।
[7] সূরা (১৩) রাদ: ১১ আয়াত।
[8] সূরা (২) বাকারা: ২৬৮ আয়াত।
[9] তিরমিযী, আস-সুনান ৫/২১৯; ইবনু হিববান, আস-সহীহ ৩/২৭৮-২৭৯। তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান গরীব।
[10] সুরা (৪০) গাফির/মুমিন: ৭-৯ আয়াত।
[11] সূরা (৫০) কাফ: ১৭-১৮ আয়াত।
[12] সূরা (৮২) ইনফিতার: ১০-১২ আয়াত।
[13] সূরা (৬) আন‘আম: ৬১ আয়াত।
[14] সূরা (৩২) সাজদা: ১১ আয়াত। আরো দেখুন: সূরা নিসা: ৯৭; সূরা আনআম: ৯৩; সূরা আনফাল : ৫০; সূরা নাহল : ২৮, ৩২; সূরা গাফির (মুমিন): ৭ আয়াত।
[15] আবূ জা’ফার তাবারী, তাফসীরে তাবারী : ২১/৯৭-৯৮।
[16] সূরা (৬৯) হাক্কা: ১৭ আয়াত।
[17] ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৩১১-৩১৭; ইবনুল কাইয়িম, ইগাসাতুল লাহফান মিন মাসাইদিশ শায়তান ২/১২৫-১২৬।