১. ৩. ৩. বিভ্রান্তিকর আকীদা সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব

আমরা পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদ থেকে জেনেছি এবং পরবর্তী অধ্যায়গুলি থেকেও জানতে পারব যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আদর্শই মুমিনের নাজাতের একমাত্র পথ। সকল বিষয়ের ন্যায় ঈমান ও আকীদার ক্ষেত্রে তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুতি কঠিন পাপ ও ধ্বংসের পথ। তিনি যে কর্ম করেননি সে কর্মকে বুজুর্গি বা দীনদারি মনে করার অর্থ তাঁর সুন্নাতকে অপূর্ণ বলে গণ্য করা এবং পাপ। অনুরূপভাবে বিশ্বাস ও আকীদার ক্ষেত্রে তিনি যা বলেননি তা বলা বা অনুরূপ কোনো বিষয়কে ইসলামী বিশ্বাসের অর্ন্তভুক্ত বলে গণ্য করাও তাঁর সুন্নাতকে অবজ্ঞা করা ও অপূর্ণ মনে করা। এরূপ করা কঠিন পাপ। কর্মের ক্ষেত্রে নেককার হলেও বা কর্মের ক্ষেত্রে পাপী না হলেও বিশ্বাস বা আকীদার ক্ষেত্রে এরূপ সুন্নাত-বিরোধিতার কারণে এ ব্যক্তি পাপী হন। এরূপ ব্যক্তি বিশ্বাসের বিভ্রান্তির কারণে জাহান্নামী হবেন বলে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে। এ বিষয়ক একটি হাদীস আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি। আরো অনেক হাদীস আমরা পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে, বিশেষত, ষষ্ঠ অধ্যায়ে আলোচনা করব। এখানে এ সকল ফিরকার জাহান্নামী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, এরা সকলেই কাফির। বরং আকীদার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবীগণের সুন্নাতের ব্যতিক্রম বিশ্বাস উদ্ভাবনের ফলে তারা আকীদাগত পাপে নিপতিত হয় এবং এজন্য তারা জাহান্নামী হবে। আর সাধারণভাবে আকীদাগত বিদআত কর্মগত বিদআতের দিকে টেনে নিয়ে যায়।

এজন্য বিশ্বাসের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ কী বিশ্বাস পোষণ করতেন তা জানা মুমিনের অতীব প্রয়োজন। তাঁরা যা বলেছেন তা বলা, তাঁরা যা বলেননি তা না বলা এবং সকল ক্ষেত্রে হুবহু তাঁদের অনুসরণ করার জন্য ইলমুল আকীদার পঠন ও পাঠন মুমিনের অন্যতম দায়িত্ব।