যুগে যুগে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ওহীর প্রয়োজনীয়তা বা অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে। যারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবি করেন তারা ওহীর অস্তিত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেন। এরূপ নাস্তিকতার দাবিদারগণও মনের গভীরে স্রষ্টার অস্তিত্বের কথা অনুভব করেন। এ বিজ্ঞানময় বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যে বিরাজমান অভাবনীয় বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খলার মধ্যে যাঁর অস্তিত্বের সাক্ষ্য বিদ্যমান তাকে অস্বীকার করি বলে গায়ের জোরে দাবি করলেও বিবেক এরূপ দাবি পুরোপুরি মানতে পারে না। তবে শয়তানের প্ররোচনা ও প্রবৃত্তির তাড়নায় মনের গভীরের বিশ্বাসের অনুভূতিকে তারা বাড়তে দেন না। বিবেকের বিশ্বাসের দাবি মুখে স্বীকার করলেই অনেক স্বেচ্ছাচারিতা ও অবৈধ কর্ম বাদ দিতে হয়, এজন্য তারা বিষয়টি মুখে স্বীকার করেন না বা এ বিষয়ে বিবেকের প্রেরণা নিয়ে চিন্তাগবেষণা করতে চান না।

দার্শনিক বা চিন্তাবিদ নামধারী অনেক মানুষ স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা সত্ত্বেও ওহীর অস্তিত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেছেন। তারা কল্পনা করেছেন যে, স্রষ্টা এ জগত ও প্রাণীকুল সৃষ্টি করে এদেরকে নিজের মনমর্জির উপর ছেড়ে দিয়েছেন। তারা আরো কল্পনা করেছেন যে, স্রষ্টা সম্পর্কে জানার জন্য মানবীয় জ্ঞানই যথেষ্ট। তারা দাবি করেছেন যে, মহান স্রষ্টা মানুষকে তার ইন্দ্রিয় ও জ্ঞানের অগম্য একটি বিষয় তার ইন্দ্রিয় ও জ্ঞান দিয়ে পুরোপুরি বুঝে নিতে দায়িত্ব দিয়েছেন। এভাবে  তারা মহান স্রষ্টার প্রতি অবমাননার সাথে সাথে মানবীয় জ্ঞান ও বিবেককে অপমান করেছেন।