ইসলাম কিউ এ ফতোয়া সমগ্র ইসলামী আইন ও এর মূলনীতি শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ ১ টি
যে রোগ থেকে স্বভাবতঃ সুস্থতা আশা করা যায় না এমন হৃদরোগের কারণে ডাক্তারেরা জনৈক মহিলাকে রোযা পালন করতে নিষেধ করেছিলেন। তাই তিনি রমজানে রোযা না রেখে প্রতিদিনের রোযার পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াতেন। এরপর আল্লাহর ইচ্ছায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরো অগ্রগতি হয়। ফলে তাঁর হার্টে ভাল্বের সার্জারি করা সম্ভব হয় এবং আলহামদুলিল্লাহ্, উক্ত সার্জারি সফল হয়। তবে তিনি বেশ কিছুদিন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং আল্লাহ্ তাকে গত রমজানে সিয়াম পালনের তাওফিক দেন। এখন তিনি জানতে চাচ্ছেন, যে দিনগুলোতে তিনি রোযা ভঙ্গ করেছিলেন সে ব্যাপারে কি করবেন? তিনি কি সেই দিনগুলোর রোযা কাজা করবেন। তাতে তাঁকে ১৮০ দিন রোযা রাখতে হবে। যা ছয় বছরের রোযার সমান। নাকি তিনি সে সময় রোযার পরিবর্তে যে ফিদিয়া (খাদ্য দান) আদায় করেছিলেন সেটাই তাঁর জন্য যথেষ্ট হবে?

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

“তিনি রোযা না-রেখে প্রতিদিনের পরিবর্তে যে ফিদিয়া আদায় করেছিলেন সেটাই তাঁর জন্য যথেষ্ট। সেই মাসগুলোর রোযা কাজা করা তাঁর উপর ওয়াজিব নয়। কারণ তিনি শরিয়ত অনুমোদিত ওজরগ্রস্ত (মাযুর)। সে সময় তাঁর উপর যা ওয়াজিব ছিল তিনি তা পালন করেছেন।

আল্লাহই তাওফিক দাতা। আল্লাহ্ আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন। ” সমাপ্ত

গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি। সদস্য: শাইখ আবদুল আযিয ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে বায, শাইখ আবদুর রায্‌যাক্ব আফীফী, শাইখ আব্দুল্লাহ্ ইবনে গুদাইয়্যান ও শাইখ আবদুল্লাহ্ ইবনে ক্বু‘ঊদ।

[গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র। (১০/১৯৫,১৯৬)]
http://islamqa.info/bn/106478